একাউন্ট

বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম

আপনি কি বিকাশ এজেন্ট হতে চান? আপনার চাওয়াটা যে কতটা ইতিবাচক ও লাভজনক সেটা বুঝেই হয়তো আপনি এজেন্ট খুলতে আগ্রহী। বিকাশ এজ েন্ট বাংলাদেশের মোবাইল ব্যাংকিং গুলোর মধ্যে ভালো মানের লাভজনক ব্যবসা। এই পোস্টে বিকাশ এজেন্ট কিভাবে হবেন (bkash agent registration) ও বিকাশ এজেন্ট সম্পর্কিত সকল তথ্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন তাই পোস্টটির সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ে নিন তবেই আপনি বিকাশ এজেন্ট সেভিংস অ্যাকাউন্ট খোলার নিয়ম জানতে পারবেন।

বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম

বিকাশ এজেন্টের একাউন্ট খুলতে মূলত কি কি প্রয়োজন হয় সেটি আগে আপনাকে জানতে হবে তারপরে পর্যায়ক্রমে আপনাকে বিকাশ এজেন্ট হতে হবে। তবে আলোচনা করে নেয়া যাক বিকাশ এজেন্ট হতে কি কি প্রয়োজন বিকাশ পার্সোনাল একাউন্ট ঘরে বসে খোলা গেল বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট ঘরে বসে খোলা যায় না। বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খুলতে নিকটস্থ বিকাশ অফিসে গিয়ে এজেন্ট হওয়ার জন্য আবেদন করতে হবে চলুন জেনে নেওয়া যাক বিকাশ এজেন্ট হতে কি কি লাগে সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।

একটি দোকান প্রয়োজন

বিকাশ এজেন্ট হওয়ার সর্বপ্রথম শর্ত হলো আপনার একটি পজিশন মতো দোকান থাকতে হবে আবার এই দোকানের অবস্থান এমন স্থানে হতে হবে যেখানে বিকাশের ভালো ব্যবসা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং মেইন রোড সংলগ্ন। বিকাশ কর্তৃপক্ষ আপনাকে এমন কোন জায়গায় বিকাশ এজেন্ট দেবে না যেখানে বিকাশে লেনদেন কম হবার সম্ভাবনা থাকে কিংবা একই এলাকায় বা একই বাজারে একাধিক এজেন্ট না দেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তাই এমন স্থানে অবস্থিত দোকানে এজেন্ট হিসেবে অনুমতি নাও দিতে পারে বিকাশ।

ট্রেড লাইসেন্স

বিকাশ এজেন্ট হতে হলে আপনার দোকানের ট্রেড লাইসেন্স থাকা ১০০% জরুরী। সিটি কর্পোরেশন বা উপজেলা অফিস কিংবা ইউনিয়ন অফিস থেকে সহজেই দোকানের জন্য ট্রেড লাইসেন্স তৈরি করে নিতে পারবেন খেয়াল রাখবেন আপনার দোকানের ট্রেড লাইসেন্সের মালিক ও এজেন্ট একাউন্ট এর আবেদনকারীর নাম একই হওয়া জরুরী।পাসপোর্ট সাইজের

ছবি

bkash এজেন্ট হওয়ার জন্য আবেদন করতে পাসপোর্ট সাইজের প্রয়োজন হবে।

এজেন্ট সিম

বিকাশ এজেন্ট হতে হলে একটি মোবাইল নম্বর বা সিম কার্ড লাগবে এই সিমে বিকাশ এজেন্ট তার সকল ধরনের লেনদেন সম্পন্ন করবেন এই সিমের নাম্বার এজেন্টের বিকাশ এজেন্ট নাম্বার হবে যে কোন অপারেটরের যে কোন সিম বিকাশ এজেন্ট হতে পারে।

উল্লিখিত বিষয়গুলো ছাড়াও বিকাশ এজেন্ট খুলতে আরও কিছু প্রয়োজনের শর্ত পূরণ করতে হবে এগুলো হলো:

*অ্যাকাউন্ট খোলার পর এলাকা ভেবে একটি বড় অঙ্কের লোড নিতে হবে বিকাশ এজেন্ট নম্বরে।
*বিকাশ কর্তৃক নির্ধারিত ব্যালেন্সের চেয়ে এজেন্ট একাউন্টে কম ব্যালেন্স থাকা যাবে না।
*বিকাশ প্রতিনিধি আপনার দোকান পরিদর্শনে এসে দোকানের ব্যবসার কার্যকারিতা বিবেচনা করবেন।
তাছাড়া প্রতি সপ্তাহে নূন্যতম লেনদেনের কিছু শর্ত রয়েছে যা এলাকা ও সময়বেদী পরিবর্তন হতে পারে বিকাশের প্রতিনিধি আপনার এলাকায় আসলে তার কাছ থেকে অ্যাকাউন্ট খোলার শর্ত সময় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে পারবেন।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: আপনার এলাকায় কিংবা এলাকার আশেপাশে অন্যান্য যারা বিকাশের দোকান করছেন তাদের কাছ থেকে জেনে নিতে পারেন বিকাশের প্রতিনিধি কবে কখন আসে তাদের সাথে যোগাযোগ করে প্রতিনিধির সাথে কথা বলে আপনি শর্ত সমূহ এবং আপনার দোকান সম্পর্কে অবহিত করতে পারে ন।

উপরোক্ত প্রয়োজনীয় জিনিস ছাড়াও আরো কিছু জিনিসের প্রয়োজন হতে পারে যেমন: টিন সার্টিফিকেট

Taxpayer`s identification number বা TIN সার্টিফিকেট প্রয়োজন হতে পারে বিকাশ এজেন্ট একাউন্টের আবেদন করতে। এছাড়া ট্রেড লাইসেন্সের জন্য টিম সার্টিফিকেট লাগতে পারে যদি এটা চাওয়া হয় তাহলে অনলাইনে খুব সহজে এটির জন্য রেজিস্ট্রেশন করতে পারে।

বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম

বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার জন্য উপরোক্ত তথ্যাবলী নিয়ে আবেদন করতে পারবেন বিকাশ ওয়েবসাইটে প্রদত্ত ফরম এর মাধ্যমে তবে এই প্রক্রিয়ায় একটি সময় সাপেক্ষ হতে পারে। তাই আপনি যদি দ্রুত বিকাশ একাউন্ট খুলতে চান এজেন্ট হিসেবে তবে পোস্টটি প্রদত্ত অন্য পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারবেন এই পোস্টের বিকাশ এজেন্ট অ্যাকাউন্ট খোলার উভয় পদ্ধতির সম্পর্কে জানতে পারবেন।

অনলাইনে বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম

অনলাইনে বিকাশ একাউন্ট খুলতে চাইলে একটি ফর্ম দেখতে পাবেন যা পূরণ করার মাধ্যমে বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট হওয়ার জন্য আবেদন করতে হবে এই পেজে কোন বক্স কি লিখবেন তা জেনে নেওয়া যাক। অনলাইন থেকে প্রাপ্ত বিকাশের এজেন্ট একাউন্ট খোলার জন্য যে ফর্মটি দেয়া হবে সেটি পূরণের বিস্তারিত কৌশল জানানো হলো:
*যিনি এজেন্ট হতে চান তার নাম বক্সে দোকান মালিকের নাম লিখুন
*ফটো আইডি নাম্বার অর্থাৎ জাতীয় পরিচয় পত্র স্মার্ট আইডি পাসপোর্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স যেকোনো একটি নাম্বার প্রদান করুন।
*ট্রেড লাইসেন্স নাম্বার বক্সে আপনার ট্রেড লাইসেন্স নাম্বারও লিখে দিন।
*পরবর্তী বক্স পাবেন যোগাযোগ নম্বর নামে একটি অপশন সেখানে এজেন্ট হতে চান যিনি তার ব্যক্তিগত ফোন নাম্বার দিতে হবে।
*এবারের ধাপে আপনাকে আপনার প্রতিষ্ঠানের নাম লিখতে হবে অর্থাৎ আপনার দোকানের নাম যেটা দিতে চাচ্ছেন তার নাম দিতে হবে।
মাশাল্লাহ ফরম পূরণ শেষ এখন পরবর্তী কাজ হচ্ছে ফরম পূরণ শেষে ভালোভাবে প্রদত্ত তথ্য যাচাই করুন ও জমা দিন বাটনে ক্লিক করে ফর্ম সাবমিট করুন। ফর্ম সাবমিট করার কিছু দিনের মধ্যে বিকাশ প্রতিনিধি আপনার সাথে যোগাযোগ করে বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট চালু করার প্রয়োজনে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সাহায্য করবেন।

বিকাশ অফিস থেকে এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম

বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলা যাবে নিকটস্থ বিকাশ ডিজিস্ট্রিবিউশন অফিস থেকেও। এই উপায়ে বেশ অল্প সময়ের মধ্যে বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার সম্ভব প্রথমে ১৬২৪৭ নাম্বারে কল করে আপনার নিকটস্থ বিকাশ অফিসের ঠিকানা জেনে নিন। এরপর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে যোগাযোগ করুন উক্ত অফিসে আপনার এজেন্ট একাউন্ট খোলার বিষয়টি তাদেরকে জানান উক্ত অফিস থেকে এজেন্ট একাউন্ট খোলার প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া সম্পর্কে আপনাকে অবহিত করা হবে মনোযোগ দিয়ে নিয়মগুলো মনে রাখুন।
পরিশেষে, আপনি হয়তো ভাবছিলেন বিকাশের এজেন্ট একাউন্ট খোলা খুবই কঠিন কাজ এবং খুবই ঝামেলার কাজ। আশা করছি আপনার মনের এই জটিলতা আমাদের এই পোষ্টের মাধ্যমে সমাধান করেছি। উপরের পোস্টটি কয়েকবার মনোযোগ সহকারে পড়লে আপনি অনায়াসেই বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট কিভাবে খুলতে হয় কোথায় গিয়ে খুলতে হয় কোথায় যোগাযোগ করলে খোলা যাবে সব বুঝতে পারলেন তাই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ে ধারণা নিয়ে আপনি বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার জন্য যোগাযোগ করে আপনার কাঙ্খিত বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খুলে ফেলুন ধন্যবাদ।

Ratul

আমি রাতুল, এটা আমার ডাক নাম। এই নামে আমার এলাকার সবাই আমাকে চিনবে তবে বাইরের কেউ হয়তো চিনবে না। আমি বিশ্বাস করি সফলতা ভাগ্য এবং পরিশ্রমের দ্বারা নির্ধারিত। এই ব্লগটি আমি সখ করে তৈরি করেছি, এবং এটিই আমার ১ম ব্লগ। আশা করি আপনাদের বিভিন্ন তথ্য দিয়ে উপকৃত করতে পারবো। ধন্যবাদ সবাইকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *