নরমাল ডেলিভারির কতদিন পর মাসিক ,জন্ম নিয়ন্ত্রণ ও সহবাস সম্পর্কে বিস্তারিত
![আসসালামু ওলাইকুম নরমাল ডেলিভারি এ কথাটি আমাদের সমাজে এখন খুব বেশি শুনতে পারছি না। সিজার শব্দটি জড়িয়ে গেছে প্রত্যেকটি মানুষের মাঝে। গর্ভবতী মা যখন বাচ্চা কনসেপ্ট করে তখন সেভাবে আমি অসুস্থ কিন্তু এটা সঠিক নয়। গর্ভবতী হওয়া ও জীবনে একটি পাট মেয়েদের জন্য। এ কথাটি মনে রেখে গর্ভবতী মা যদি তার দৈনন্দিন জীবনে আগেও যেমন চলাচল করে তার নিত্য প্রয়োজনীয় কাজগুলো করে।তবে মায়ের গর্ভকালীন সময় কে পার করতে কষ্ট হবে না।এখন সমাজ সভ্যতার সাথে সাথে মানুষের মনের পরিবর্তন ঘটেছে কিন্তু আমাদের মা, নানি, দাদি, এদের কথা ভেবে দেখলে এরা যদি আমাদেরকে নরমাল ডেলিভারি অর্থাৎ সাধারণভাবে পৃথিবীর বুকে ভূমিষ্ঠ করতে পারে সে ক্ষেত্রে আমাদেরও পারতে হবে। এই মনোভাব নিয়ে প্রেগনেন্সির সময় পার করতে হবে। নরমাল ডেলিভারি করার জন্য প্রয়োজনীয় যে কাজগুলো করতে হবে । গর্ভবতী মা হচ্ছে একজন মানুষ সবার আগে এই কথাটি মনে রাখতে হবে। আর অসুস্থ এই কথাটি ভাবা যাবে না ভাবতে হবে যে আমি মা হতে যাচ্ছি অসুস্থ নয়। মনের ভিতর সাহস আল্লাহর উপর দীর্ঘ বিশ্বাস ও ভরসা রাখতে হবে। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে যা যা কাজ সবগুলো করতে হবে সঠিকভাবে খাবার খেতে হবে বিশ্রাম নিতে হবে। অকারনে রাত জাগা যাবে না সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে খাবার খেতে হবে এবং সকালে বিশেষ করে কমপক্ষে আধা ঘন্টা হাঁটতে হবে। যদি গর্ভবতী মা মনে করে বাইরে হাঁটতে যাবে না সেক্ষেত্রে সে ঘরের ভিতরে হাঁটতে পারে কিন্তু সকালে সূর্যের আলো বাতাস গর্ভবতী মায়ের বাচ্চার জন্য খুবই উপকৃত। নরমাল ডেলিভারি হওয়ার উপায় নরমাল ডেলিভারির জন্য মা লাইফ স্টাইল থেকে যে কাজগুলো পরিহার করবে। প্রথমত একজন গর্ভবতী মা আগে তার খাদ্য অভ্যাস পরিবর্তন করে থাকবে আগে যদি সে সঠিক সময়ে খাবার না খেতে তবে এখন তার গর্ভে থাকা সন্তানটির কথা ভেবে সঠিক সময়ে পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। অবশ্যই তার খাবারের তালিকা থেকে তৈলযুক্ত অর্থাৎ ফাস্টফুড খাবার গুলো বাদ দিতে হবে আর ঘরে তৈরি সাধারণ খাবার খাবে। দ্বিতীয়ত গর্ভবতী মায়ের ঘুমের অভ্যাস এর পরিবর্তন করতে হবে মা যদি আগে দেরি করে ঘুমাতে তবে এখন থেকে সকাল সকাল ঘুমিয়ে পড়বে এতে করে গর্ভে থাকা সন্তান বিশ্রাম পাবে এবং মা নিজেও বিশ্রামে থাকতে পারবে। গর্ভবতী মা দূরে থেকে ভ্রমণ পরিহার করবে। কেননা দূর ভর্তি যাতায়াতের জন্য মায়ের গর্ভে থাকা সন্তানটির ঝুঁকিপূর্ণতা হতে পারে। নরমাল ডেলিভারি হওয়ার ফলে একজন মায়ের যে সকল উপকার হয়ে থাকে। নরমাল ডেলিভারি হওয়ার গর্ভবতী সন্তান পৃথিবীতে ভূমিষ্ঠ করার পর থেকে দু'তিনদিনের মধ্যে মোটামুটি স্বাভাবিক ভাবে চলাচল করতে পারে । তেমন বেশিকষ্ট ভোগ করতে হয়না। নরমাল ডেলিভারির জন্য করণীয় মা সারা জীবনের জন্য সুস্থতা অবলম্বন করতে পারে। পৃথিবীতে ভূমিষ্ঠ হওয়া সন্তানটির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি থাকে। আর অপরদিকে একজন সিজারিয়ান মায়ের ক্ষেত্রে ভিন্নতা হয়ে থাকে। সিজারিয়ান মা চাইলেই স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে পারে না তার সুস্থতার জন্য কমপক্ষে একটি মাসের প্রয়োজন হয়। আর সারা জীবনের জন্য সে তো তার সমস্যাটি ভোগ করতেই থাকে শিশুর ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে। সর্বশেষ বলতে চাচ্ছি যে এতক্ষন আমাদের সঙ্গে থেকে ধৈর্যের সাথে পোস্টটি পড়ার জন্য আন্তরিকভাবে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন রইল।যদি আমাদের দেওয়া তথ্যগুলো আপনাদের নিজেদের জীবনে ব্যবহার করে উপকৃত হন এবং অন্যকে বুঝিয়ে উপকার করেন তবেই আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ থাকব।](https://happybangla.com/wp-content/uploads/2022/05/নরমাল-ডেলিভারি-হওয়ার-উপায়-ও-করণীয়.png)
আসসালামুআলাইকুম প্রিয় পাঠক-পাঠিকা ,আজ আমরা আপনাদের কাছে এসেছি নরমাল ডেলিভারির কতদিন পর মাসিক, জন্মনিয়ন্ত্রণ ও সহবাস এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে, নরমাল ডেলিভারি আমাদের দেশে তো প্রায় শোনাই যায়না।
আমরা মায়েরা এখন নরমাল ডেলিভারিতে কষ্ট এটা সহ্য করতে না পারার কারণে সিজারের পথ বেছে নিয়েছি। তো এটা ভাবি না যে, নরমাল ডেলিভারির কষ্টটা সাময়িক সিজারের কষ্টটা দীর্ঘদিন। একটা সিজার মানে সারাটা জীবন তার ভোগ পোহাতে হয়। নরমাল ডেলিভারি মানে শুধু সেই দিনটাই কষ্ট ভোগ করতে হয় পরবর্তী জীবনে সুখ আর শান্তি কোনো ধরাবাধা নিয়ম নেই। আপনারা যদি একটু কষ্ট করে নরমাল ডেলিভারির জন্য অপেক্ষা করেন তবে সারা জীবন সুখে থাকবেন আশা করি
নরমাল ডেলিভারির কতদিন পর মাসিক হয়
এ সম্পর্কে নিম্নে কিছু তথ্য বর্ণনা করা হলো: গর্ভ অবস্থায় মায়ের পুরো নয় মাস সময় প্রজন্ত মাসিক বন্ধ থাকে। সন্তান জন্মদানের পর মাসিক শুরু হতে কিছুটা সময় লাগে। এই সময়টা এক এক জনের এক এক রকম হয়ে থাকে। সাধারণত মাসিক বা ঋতুস্রাব হতে নির্ভর করে মায়ের উপর। মা কিভাবে তার বাচ্চাকে ব্রেস্ট ফিডিং করাচ্ছে। মা যদি তার সন্তানকে এক্সক্লুসিভঃ ব্রেস্ট ফিডিংকরায়।তবে সে মায়ের ছয় থেকে আট মাস পর্যন্ত সময় মাসিক বা ঋতুস্রাব বন্ধ থাকবে।
আবার সময় সীমা আরো ও বাড়তে পারে। অনেক ক্ষেত্রে দুই তিন মাস পরেও মাসিক বা ঋতুস্রাব হতে পারে। তা নিয়ে দুশ্চিন্তা করার কিছু নেই। অনেকক্ষেত্রে আবার সময় সীমা 18 মাস থেকে 2 বছর ও হতে পারে।এক্ষেত্রে সন্তানের বয়স যখন ছয় মাস হবে তখন থেকে পিল খাওয়া শুরু করবে তাহলে মাসিক বা ঋতুস্রাব নিয়মিত হবে।
নরমাল ডেলিভারির পর জন্মনিয়ন্ত্রণ
এ সম্পর্কে নিচে কিছু তথ্য বর্ণনা করা হলো: যখন একটি বাচ্চার জন্ম দেওয়া হয়ে যায় তখন যদি মা কোন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ না করে সেই ক্ষেত্রে মায়ের পরবর্তীতে আবার একটি সন্তান জন্ম দেওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে।তাই মাকে অবশ্যই জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য কোন একটি উপায় বেছে নিতে হবে।জন্ম নিয়ন্ত্রণের জন্য কনডম আছে পিল আছে। দীর্ঘমেয়াদী শরীরে ক্যাপ লাগাতে পারেন। পিল বাচ্চা জন্মের 21 দিন পর থেকে খাওয়া শুরু করা যাবে।
এই পিল প্রতিদিন একই সময়ে খেতে হবে।যদি 21 দিন পর পিল খাওয়া শুরু করে তাহলে প্রথম দুই দিন সম্পূর্ণ নিরাপদ থাকবে না। এ জন্য কনডম ব্যবহার করতে হবে। কনডম ব্যবহারের ফলে ও জন্ম নিয়ন্ত্রণ করা যায় যদিও উভয়ের সম্মতি থাকে। কনডম ব্যবহারের ফলে যৌনবাহিত রোগ থেকে নিরাপদ রাখে। আরো বেশি চিন্তা মুক্ত থাকতে হলে দীর্ঘমেয়াদি জন্মনিয়ন্ত্রণ পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। এটি হচ্ছে শরীরে একটি ক্যাপ লাগানো থাকে তিন বছরের মেয়াদ আছে চার বছরের আছে পাঁচ বছরে আছে।
নরমাল ডেলিভারির পর সহবাস
সম্পর্কে কিছু তথ্য নিচে প্রদান করা হলো: একজন নারী দীর্ঘ নয় মাস গর্ভ অবস্থায় থাকার পর সন্তান ভূমিষ্ঠ করে পৃথিবীর বুকে। সন্তান জন্মদানের ঠিক কতদিন পর সহবাস করা যাবে এর কোনো ধরাবাধা নিয়ম নেই। তবে হ্যাঁ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী তিন থেকে চার মাস পর সহবাস করা উত্তম ।আর সে ক্ষেত্রে নারী যদি সহবাস করতে চায় এবং নিজেকে প্রস্তুত রাখায় কোন সমস্যা নাই তো, সহবাস করতে পারেন। সহবাস হচ্ছে স্বামী-স্ত্রীর তৃপ্তির জন্য করা হয়।
সহবাসের সময় অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যে নারীর যৌন , ব্যাথা পাচ্ছে কিনা রক্তক্ষরণ হচ্ছে কিনা এগুলোর প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। কেননা একটি সন্তান জন্মদানের পর মায়ের শরীর সঠিক হতে একটি মাসের প্রয়োজন। শিশু জন্মের পর হরমনের পরিবর্তন হয় যৌন অঙ্গ আগের মত আদ্র থাকেনা সূক্ষ্ম হয়ে যায এ ক্ষেত্রে কোন ধরনের জেল ব্যবহার করতে পারেন।