স্বাস্থ্য

মেয়েদের তলপেটে ব্যথা কমানোর ঔষধ, নিয়ম, চিকিৎসা

আলাইকুম প্রিয় পাঠক-পাঠিকা,আজকে আমরা মেয়েদের তলপেটে ব্যথা কমানোর ঔষধ নিয়ম চিকিৎসা সম্পর্কে বলতে এসেছি।মাসিক এই শব্দটির সাথে পৃথিবীতে সকল মহিলা মানুষের সম্পর্ক আছে। প্রত্যেকের মাসিকের সময় পার করতে হয় মাসে একবার করে।প্রত্যেক মাসে নির্দিষ্ট তারিখে মাসিক বা ঋতুস্রাব হয়ে থাকে। মাসিক বা ঋতুস্রাব হলে কারোর মৃদু এবং কম অস্বস্তিকর আবার কারোর অনেক বেদনাদায়ক এবং কষ্টকর অবস্থা হয়ে থাকে। মাসিক বা ঋতুস্রাব একেক জনের একেক রকম হবার কারণ হলো এক এক জনের শারীরিক মানসিক ও পুষ্টিগত অবস্থার উপর ভিত্তি করে মাসিকের ব্যথা অনুভব করে।

মাসিকের সময় ঔষধ সেবন করতে হবে নিম্নে তা প্রদান করা হলো:

মাসিক বা ঋতুস্রাব এটি পৃথিবীর সকল মহিলা মানুষের উপভোগ করতে হয়। কারোর তীব্র কষ্ট সহ্য করতে হয় আবার কারও মৃদু কষ্ট সহ্য করতে হয় এটাই হচ্ছে পার্থক্য। কিন্তু হ্যাঁ এটা হচ্ছে একটি অস্বস্তিকর,মাসিকের দিনগুলোতে কাটাতে হয়।

এখন একজন ব্যক্তির মাসিকের জন্য তলপেটে অতিরিক্ত ব্যথা যন্ত্রণা অনুভব করতে থাকে তখন সে অবশ্যই যেন ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে থাকে। ডাক্তার অবশ্যই সেই ব্যক্তির পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ঔষধ প্রদান করে থাকবে।এ পরীক্ষাটি মূলত আলট্রাসনোগ্রাফি করা হলে ডাক্তার বুঝতে পারবে যে মাসিকের জন্য সাময়িকভাবে ঔষধ সেবন করলে ব্যথার পরিমাণ কম হবে।

মাসিকের সময় ব্যথা হওয়া থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে না একেবারে কারণ যতদিন পর্যন্ত মাসিক হবে, একটি ব্যক্তি তত দিন পর্যন্ত এই মাসিক হওয়ার সময় ব্যথা হয়ে থাকবে। চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ সেবন করলে সাময়িকভাবে ব্যথা কম থাকবে।

মাসিকের সময় তলপেটে ব্যথা কমানোর নিয়ম:

ঋতুস্রাব বা মাসিক প্রত্যেকেরই অনুভব হয় কারো শারীরিক-মানসিক পুষ্টির পরিমাণ বেশি থাকার ফলে কষ্ট বা বেদনার পরিমাণ কম হয়।আর যারা শারীরিকভাবে অপুষ্টীতে থাকে তাদের ক্ষেত্রে বেশিরভাগ সময় কষ্ট যন্ত্রণা ভোগ করতে হয় । মাসিকের সময় চর্বিযুক্ত তৈলাক্ত খাবার কে এড়িয়ে চলতে হবে। এধরনের খাবার পেটে পড়লে মাসিকের রক্তের পরিমাণ বেশি হতে পারে এবং ব্যথার পরিমাণ ও বাড়তে পারে।

মাসিকের সময় পেটে ব্যথা হয় যখন তখন হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করতে হবে। পেটে ব্যথা হয় সেখানে মালিশ করতে হবে। আদা ব্যথা কমাতে সাহায্য করে তলপেটের। আদা কুচি কুচি করে দিতে হবে গরম পানি খাওয়ার সাথে এবং চায়ের সঙ্গে খেতে হবে ।ব্যায়াম করলে ব্যথা কম হতে পারে। যেমন যোগ বিয়োগ, হাঁটাহাঁটি করা। আর না কম করলে ব্যথার পরিমাণ অবশ্যই চিকিৎসকের সান্নিধ্যে যেতে হবে।

মাসিকের সময় তলপেটে ব্যথা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে

এ সম্পর্কে কিছু কথা বলতে চাই, মাসিক বা ঋতুস্রাব এটি পৃথিবীর প্রতিটি মহিলার জীবনে প্রত্যেক মাসে একবার করে ঘটে থাকে। কিন্তু সবার মাসিকের সময় যন্ত্রণা বেদনা হয় না। যাদের মাসিকের সময় যন্ত্রণা বেদনা কষ্ট হয়ে থাকে। এদের উদ্দেশ্যে বলতে চাচ্ছি অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ঔষধ সেবন করবে। কেননা ডাক্তার বুঝতে পারবে কেন এই সমস্যাটি হচ্ছে এর জন্য কি ঔষধ প্রয়োজন আছে।

সমাজে ডাক্তার ব্যবস্থার জন্য দুইটি অবস্থা আছে একটি হচ্ছে হোমিওপ্যাথিক এবং অন্যটি হচ্ছে এলোপ্যাথিক। এখন যে ডাক্তারের পরামর্শ যেতে ভালো লাগে অবশ্যই সেই ডাক্তারের পরামর্শ গিয়ে এই রোগটি নিরাময় করার জন্য চেষ্টা করবে।তবে হ্যাঁ মাসিকের সময় তলপেটে ব্যথা হয়েছে যে চিকিৎসা আমাদের চিকিৎসকের কাছে আছে সেটি হচ্ছে একেবারে পুরোপুরি নিরাময় করে না মেয়েদের জীবনে থেকেই যায় সাময়িকভাবে কষ্টটা দূর হয়।

সর্ব পরিশেষে বলতে চাচ্ছি যে আপনাদের জানানোর উদ্দেশ্যে এতক্ষন কথা বলেছি, মেয়েদের মাসিকের সময় তলপেটে ব্যথার ,তাহলে কি করতে হবে কি ওষুধ খেতে হবে এবং কিভাবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।আশা করছি আপনারা এই তথ্যগুলো আপনাদের জীবনে ব্যবহার করবে এবং অন্যকে জানানোর জন্য চেষ্টা করবেন। এতে করে আপনি নিজেও জানতে পারলেন ও অন্যরা জেনে উপকৃত হবে। ধন্যবাদ এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য।

Ratul

আমি রাতুল, এটা আমার ডাক নাম। এই নামে আমার এলাকার সবাই আমাকে চিনবে তবে বাইরের কেউ হয়তো চিনবে না। আমি বিশ্বাস করি সফলতা ভাগ্য এবং পরিশ্রমের দ্বারা নির্ধারিত। এই ব্লগটি আমি সখ করে তৈরি করেছি, এবং এটিই আমার ১ম ব্লগ। আশা করি আপনাদের বিভিন্ন তথ্য দিয়ে উপকৃত করতে পারবো। ধন্যবাদ সবাইকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *