ইসলামিক মোটিভেশনাল উক্তি
নিচে পর্যায়ক্রমে ইসলামিক উক্তিগুলো আলোচনা করা হলো:
ইসলামিক উক্তি
১। আল্লাহর ভয়ে তুমি যা কিছু ছেড়ে দিবে, আল্লাহ্ তোমাকে তার চেয়ে উত্তম কিছু অবশ্যই দান করবেন। হযরত মোহাম্মদ (সঃ
২। অসৎ লোক কাউকে সৎ মনে করে না, সকলকেই সে নিজের মতো ভাবে ”
—- হযরত আলী (রাঃ)
.৩। “ যে নিজে সতর্কতা অবলম্বন করে না, দেহরক্ষী তাকে বাঁচাতে পারে না ”
—- হযরত আলী (রাঃ)
৪। “ সব দুঃখের মূল এই দুনিয়ার প্রতি অত্যাধিক আকর্ষণ ”
—- হযরত আলী (রাঃ)
৫। “ পাপ লুকানোর চেষ্টা করে কোনোদিন সফলকাম হতে পারে না। পাপের কথা স্বীকার করে যদি কেউ তা ত্যাগ করার চেষ্টা করে তবে তার পক্ষে সফলতা লাভ করা স্বাভাবিক ”
—- হযরত আলী (রাঃ)
৬। “ বড়দের সম্মান কর, ছোটরা তোমাকে সম্মান করবে ”
—- হযরত আলী (রাঃ)
৭। “ হীনব্যক্তির সম্মান করা ও সম্মানীয় ব্যক্তির অপমান করা একই প্রকার দোষের ”
—- হযরত আলী (রাঃ)
৮। “ যা সত্য নয় তা কখনো মুখে এনো না । তাহলে তোমার সত্য কথাকেও লোকে অসত্য বলে মনে করবে ”
—- হযরত আলী (রাঃ)
৯। “ বুদ্ধিমান ও সত্যবাদী ব্যক্তি ছাড়া আর কারো সঙ্গ কামনা করো না ”
—- হযরত আলী (রাঃ)
১০। “ বুদ্ধিমানেরা কোনো কিছু প্রথমে অন্তর দিয়ে অনুভব করে, তারপর সে সম্বন্ধে মন্তব্য করে। আর নির্বোধেরা প্রথমেই মন্তব্য করে বসে এবং পরে চিন্তা করে। ”
—- হযরত আলী (রাঃ)
১১। “ অভ্যাসকে জয় করাই পরম বিজয় ”
—- হযরত আলী (রাঃ)
১১। “ মানুষের সাথে তাদের বুদ্ধি পরিমাণ কথা বলো ”
—- হযরত আলী (রাঃ)
১২। কার্পণ্য ত্যাগ করো নতুবা তোমার আপনজনরা তোমার জন্য লজ্জিত হবে এবং অপরে তোমাকে ঘৃণা করবে ”
—- হযরত আলী (রাঃ)
১৩। “ অযাচিত দানই দান, চাহিলে অনেক সময় চক্ষুলজ্জায় লোকে দান করে, কিন্তু তা দান নহে ”
—- হযরত আলী (রাঃ)
১৪। “ ধনসম্পদ হচ্ছে কলহের কারণ, দুর্যোগের মাধ্যমে কষ্টের উপলক্ষে এবং বিপদ আপদের বাহন ”
—- হযরত আলী (রাঃ)
১৫। “ ধনসম্পদ হচ্ছে কলহের কারণ, দুর্যোগের মাধ্যমে কষ্টের উপলক্ষে এবং বিপদ আপদের বাহন ”
—- হযরত আলী (রাঃ)
১৬। “ স্বাস্থ্যের চাইতে বড় সম্পদ এবং অল্পে তুষ্টির চাইতে বগ সুখ আর কিছু নেই ”
—- হযরত আলী (রাঃ)
১৭। “ যা তুমি নিজে করো না বা করতে পারো না, তা অন্যকে উপদেশ দিও না ”
—- হযরত আলী (রাঃ)
১৮। “ যে নিজের মর্যাদা বোঝে না অন্যেও তার মর্যাদা দেয় না! ”
—- হযরত আলী (রাঃ)
১৯। “ মনে রেখো তোমার শত্রুর শত্রু তোমার বন্ধু, আর তোমার শত্রুর বন্ধু তোমার শত্রু ”
—- হযরত আলী (রাঃ)
২০। “ তোমার যা ভাললাগে তাই জগৎকে দান কর, বিনিময়ে তুমিও অনেক ভালো জিনিস লাভ করবে ”
—- হযরত আলী (রাঃ)
২১। “ কার্পণ্য ত্যাগ করো নতুবা তোমার আপনজনরা তোমার জন্য লজ্জিত হবে এবং অপরে তোমাকে ঘৃণা করবে ”
—- হযরত আলী (রাঃ)
২২। “ বুদ্ধিমানেরা কোনো কিছু প্রথমে অন্তর দিয়ে অনুভব করে, তারপর সে সম্বন্ধে মন্তব্য করে। আর নির্বোধেরা প্রথমেই মন্তব্য করে বসে এবং পরে চিন্তা করে। ”
—- হযরত আলী (রাঃ)
২৩। “ অযাচিত দানই দান, চাহিলে অনেক সময় চক্ষুলজ্জায় লোকে দান করে, কিন্তু তা দান নহে ”
—- হযরত আলী (রাঃ)
২৪। “ দরিদ্রকে দান করিলে সেই দানের জন্য একটি পুরষ্কার আছে। কিন্তু অভাবগ্রস্ত আত্নীয়-স্বজনকে দান করিলে সেই দান করিলে সেই দানের জন্য দুইটি পুরষ্কার আছে, একটি দানের জন্য, অন্যটি আত্নীয়কে সাহায্য করার জন্য। ”
—- আল হাদিস
২৫। “ মানুষের ভিতরে এমন একটি অংশ আছে ওই অংশটি যদি পরিশুদ্ধ হয় তাহলে মানবদেহের পুরো অংশ পরিশুদ্ধ হয়। কিন্তু যদি ওই অংশটি নষ্ট হয়ে যায়, তাহলে মানবদেহের পুরো অংশ নষ্ট হয়ে যায়। সেই অংশটি হলো ”আত্মা”। ”
—- আল হাদিস
২৬। “ মাতা পিতাকে কষ্ট দিবে না। তারা যদি তোমাকে তোমার সন্তান সন্ততি ও বিষয় সম্পদ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয় তবুও।
—- আল হাদিস
২৭। “ শিক্ষা অর্জনে সূদুর চীন দেশে যেতে হলে যাও ”
—- আল হাদিস
২৮। “ সত্য লোকের নিকট অপ্রিয় হইলেও তাহা প্রচার কর ”
—- আল হাদিস
২৯। “ সন্তান তাঁর নামে পরিচিত হবে যার শয্যায় সে ভূমিষ্ঠ হয়েছে ,,, ”
মোটিভেশনাল ইসলামিক উক্তি
- উচ্চ আশা এমন এক বাহন যাতে আরোহন করার পরিণাম সীমাহীন ক্লান্তি ছাড়া আর কিছুই নয়
- লোভ-লালসা অহংকার এবং মানুষকে ওয়াসিম পাপের পথের দিকে নিয়ে যায় যারা জীবনে ভালো কিছু কামনা করে তাদের প্রত্যেকেই
উপরোক্ত বিষয়গুলোর প্রতি সুন্দরভাবে দৃষ্টি রাখতে হবে হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু - সবসময়ের জন্য অসৎ লোকের অর্থ-সম্পদ পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জীবনের বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়
- আলী রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু
- মানুষ জ্ঞান আহরণ করেন নিজের অস্তিত্বের সাথে বেইমানি এবং বিবেকবর্জিত কর্ম করে থাকে
আলী রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু - যে মানুষ ভালো পথে আয় রোজগার করে সেই প্রকৃত মুসলমান
- হযরত আব্দুল কাদের জিলানী রাহমাতুল্লাহ আলাইহি
- যে ব্যক্তি আমার ভুল উপহার দেয় আল্লাহর করুণা তার ওপর
- হযরত ওমর রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু
- যে ব্যক্তি অপরের দোষ ত্রুটি এর কথা তোমার নিকট প্রকাশ করে সে নিশ্চয়ই তোর দোষের কথা ও কপারের বা অন্য ব্যক্তির নিকট প্রকাশ করে থাকে
- হযরত হাসান বছরী রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু
কোরআনে বর্ণিত জীবন পরিবর্তনের উক্তি
– কথা বলার আওয়াজ
‘আর কণ্ঠ স্বর নিচু কর। নিঃসন্দেহে গাধার স্বরই সর্বাপেক্ষা অপ্রীতিকর।’ (সুরা লোকমান : আয়াত ১৯)
‘মানুষের সঙ্গে সুন্দর ও উত্তম তথা প্রাঞ্জল ভাষায় কথা বল।’ (সুরা বাকারা : আয়াত ৮৩)
‘যে বিষয়ে জ্ঞান নেই, সে সম্পর্কে কথা না বলা অর্থাৎ জ্ঞানহীন অসাড় কথা না বলা।’ (সুরা বনি ইসরাঈল : আয়াত ৩৬)
কুরআনের যত স্থানেই কথা বলার বর্ণনা এসেছে, সব স্থানেই সঙ্গত ন্যায় কথা বলার কথা বলা হয়েছে।
– চলাফেরা
পৃথিবীতে দম্ভভরে (অহংকারের সঙ্গে) পদচারণা করো না। নিশ্চয় তুমি তো ভূ-পৃষ্ঠকে কখনই বিদীর্ণ করতে পারবে না এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না।’ (সুরা বনি ইসরাঈল : আয়াত ৩৭)
– দৃষ্টি
আপনি দৃষ্টি তুলে ওই বস্তুর দিকে (লোভাতুর দৃষ্টিতে) তাকাবেন না, যা আমি তাদের মধ্যে কয়েক প্রকার লোককে ভোগ করার জন্যে দিয়েছি, তাদের জন্য চিন্তিত হবেন না আর ঈমানদারদের জন্য স্বীয় বাহু নত করুন।’ (সুরা হিজর : আয়াত ৮৮)
– সামাজিক ভারসাম্য রক্ষা
‘যদি মুমিনদের দুই দল যুদ্ধে লিপ্ত হয়ে পড়ে, তবে তোমরা তাদের মধ্যে মীমাংসা করে দেবে। অতপর যদি তাদের একদল অপর দলের ওপর চড়াও হয়, তবে তোমরা আক্রমণকারী দলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে; যে পর্যন্ত না তারা আল্লাহর নির্দেশের দিকে ফিরে আসে। যদি ফিরে আসে, তবে তোমরা তাদের মধ্যে ন্যায়ানুগ পন্থায় মীমাংসা করে দেবে এবং ইনছাফ করবে। নিশ্চয় আল্লাহ ইনছাফকারীদেরকে পছন্দ করেন।’ (সুরা হুজুরাত : আয়াত ৯)
‘মুমিনগণ, কেউ যেন অপর কাউকে উপহাস না করে। কেননা, সে উপহাসকারী অপেক্ষা উত্তম হতে পারে এবং কোন নারী অপর নারীকেও যেন উপহাস না করে। কেননা, সে উপহাসকারিণী অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ হতে পারে। তোমরা একে অপরের প্রতি দোষারোপ করো না এবং একে অপরকে মন্দ নামে ডেকো না। কেউ বিশ্বাস স্থাপন করলে তাদের মন্দ নামে ডাকা গোনাহ। যারা এহেন কাজ থেকে তওবা না করে তারাই জালেম।’ (সুরা হুজুরাত : আয়াত ১১)
– হিংসা বিদ্বেষ, ধারণা ও পরনিন্দা না করা
‘মুমিনগণ, তোমরা অনেক ধারণা থেকে বেঁচে থাক। নিশ্চয় কতক ধারণা গোনাহ। আর গোপনীয় বিষয় সন্ধান করো না। তোমাদের কেউ যেন কারও পশ্চাতে নিন্দা না করে। তোমাদের কেউ কি তার মৃত ভাইয়ের গোশত খাওয়াকে পছন্দ করবে? বস্তুত তোমরা তো একে ঘৃণাই কর। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তওবাহ কবুলকারী, পরম দয়ালু।’ (সুরা হুজরাত : আয়াত ১২)
– অপচয় না করা
‘হে বনি আদম! তোমরা প্রত্যেক নামাজের সময় সাজসজ্জা পরিধান করে নাও, খাও ও পান কর এবং অপব্যয় করো না। তিনি অপব্যয়ীদের পছন্দ করেন না।’ (সুরা আরাফ : আয়াত ৩১)
কুরআনের এ সুন্দর গুণগুলো মানুষের জীবনে বাস্তবায়িত হলে হিংসা ও ঘৃণামুক্ত সুন্দর সমাজ তৈরি হতো। প্রতিটি পরিবার কুরআনের সৌন্দর্য রঙ ছিটিয়ে জীবন ও জগৎকে সুখ ও সমৃদ্ধিতে ভরে দিতো।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে কুরআনের উল্লেখিত গুণে ব্যক্তি পরিবার ও সমাজ জীবন সাজানোর তাওফিক দান করুন। আমিন।
হাদিসের উক্তি
অভ্যাসকে জয় করাই পরম বিজয় ।
— হযরত আলী (রাঃ)
যা তুমি নিজে করো না বা করতে পারো না তা অন্যকে উপদেশ দিও না ।
— হযরত আলী (রাঃ)
উহাই শ্রেষ্ঠ দান যাহা হৃদয় হইতে উৎসারিত হয় এবং রসনা হতে ক্ষরিত হয়ে ব্যথিত এর ব্যাথা দূর করে ।
— আল হাদিস
সত্য লোকের নিকট অপ্রিয় হলেও তা প্রচার করো ।
— আল হাদিস
আল্লাহ তা’আলার ভয়ে তুমি যা কিছু ছেড়ে দিবে, আল্লাহ তোমাকে তার চেয়ে উত্তম কিছু অবশ্যই দান করবেন ।
— আল হাদিস
মনীষীদের ইসলামিক বাণী চিরন্তনী
অনুপ্রেরণামূলক হাদিস:
“যার দুটি দিন একই রকম কাটলো, সে ক্ষতিগ্রস্ত হলো। ”অর্থাৎ, যে আজকের দিনটিকে গতকালের চেয়ে বেশি কাজে লাগাতে পারলো না, সে উন্নতি করতে পারলো না)
– আল হাদিস
”তোমরা একে অন্যের প্রতি হিংসা করোনা , ঘৃণা বিদ্বেষ করোনা এবং একে অপরের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়োনা
– মুসলিম
“তোমাদের মধ্যে সে-ই উত্তম, যে তার পরিবার পরিজনের কাছে উত্তম। ”
– ইবনে মাজাহ
“আল্লাহ ততোক্ষণ বান্দাহর সাহায্য করেন, যতোক্ষণ সে তার ভাইকে সহযোগীতা করে।”
– সহীহ মুসলিম
“যে পবিত্র থাকতে চায় , তাকে আল্লাহ পবিত্র রাখেন।
– সহীহ বুখারী
“আল্লাহর পথে একটি সকাল কিংবা একটি সন্ধ্যা ব্যয় করা গোটা পৃথিবী এবং পৃথিবীর সমস্ত সম্পদের চেয়ে উত্তম। ”
– বুখারী
অনুপ্রেরণামূলক হাদিস
“অত্যাচারী শাসকের সামনে সত্য কথা বলা সবচেয়ে বড় জিহাদ। ”
– তিরমিযী
কোরআনের উক্তি
১। সত্য ও মিথ্যার মিশ্রণ করা যাবে না
ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা সত্যকে মিথ্যার সঙ্গে মিশ্রিত কোরো না। এবং জেনেশুনে সত্য গোপন কোরো না।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ৪২)
২। সৎ কাজ নিজে করে অন্যকে করতে বলো
ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা কি মানুষকে সৎকর্মের নির্দেশ দাও, আর নিজেদের বিস্মৃত হও…?’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ৪৪)
৩। বিবাদে লিপ্ত হয়ো না
ইরশাদ হয়েছে, ‘…দুষ্কৃতকারীরূপে পৃথিবীতে নৈরাজ্য সৃষ্টি কোরো না।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ৬০)
৪। কারো মসজিদে যাওয়ার পথে বাধা দিয়ো না
ইরশাদ হয়েছে, ‘তার চেয়ে বড় জালিম আর কে, যে আল্লাহর (ঘর) মসজিদে তাঁর নাম স্মরণ করতে বাধা দেয় এবং এর বিনাশসাধনে প্রয়াসী হয়…?’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ১১৪)
৫। কারো অন্ধ অনুসরণ করা যাবে না
ইরশাদ হয়েছে, ‘যখন তাদের বলা হয়, আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন, তা তোমরা অনুসরণ করো; তারা বলে, না, বরং আমরা আমাদের পিতৃপুরুষদের যাতে পেয়েছি, তার অনুসরণ করব…।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ১৭০)
৬। প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ কোরো না
ইরশাদ হয়েছে, ‘হে ঈমানদাররা, তোমরা অঙ্গীকার পূর্ণ করো…।’ (সুরা : মায়েদা, আয়াত : ১)
৭। অন্যায়ভাবে কারো সম্পদ ভোগ করবে না
ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা নিজেদের মধ্যে একে অন্যের অর্থ-সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস কোরো না…।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ১৮৮)
৮। সীমা লঙ্ঘন করা যাবে না
ইরশাদ হয়েছে, ‘…সীমা লঙ্ঘন কোরো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সীমা লঙ্ঘনকারীদের ভালোবাসেন না।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ১৯০)
৯। আল্লাহর পথে ব্যয় করো
ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা আল্লাহর পথে ব্যয় করো…।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ১৯৫)
১০। এতিমদের সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণ করো
ইরশাদ হয়েছে, ‘মানুষ তোমাকে এতিমদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে, বলে দাও, তাদের জন্য সুব্যবস্থা করা উত্তম…।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২২০)
১১।পরনিন্দা পরিহার করো
ইরশাদ হয়েছে, ‘কারো গোপন তথ্য অনুসন্ধান কোরো না এবং পরনিন্দা কোরো না।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৮৩)
১২। শিশুকে দুই বছর বুকের দুধ খাওয়াও
ইরশাদ হয়েছে, ‘শিশুকে পূর্ণ দুই বছর দুধ পান করাও।’
(সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৩০)
১৩। সৎ শাসক নির্বাচন করো
ইরশাদ হয়েছে, ‘সৎ গুণ দেখে শাসক নির্বাচন করো।’
(সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৪৭)
১৪। ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি নয়
ইরশাদ হয়েছে, ‘দ্বিনের ব্যাপারে কোনো জবরদস্তি নেই।
(সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৫৬)
১৫। মানুষের নিঃস্বার্থ উপকার করো
ইরশাদ হয়েছে, ‘প্রতিদান কামনা করে দান বিনষ্ট কোরো না।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৬৪)
১৬। অন্যের বিপদে সাহায্য করো
ইরশাদ হয়েছে, ‘প্রয়োজনে সহযোগিতা করো।’
(সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৭৩)
১৭। সুদ পরিহার করো
ইরশাদ হয়েছে, ‘সুদ গ্রহণ কোরো না।’
(সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৭৫)
১৮। অপারগ ব্যক্তির ওপর সদয় হও
ইরশাদ হয়েছে, ‘যদি ঋণগ্রহীতা অভাবগ্রস্ত হয়, তবে সচ্ছলতা আসা পর্যন্ত সময় দাও।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৮০)
১৯। হিসাব সংরক্ষণ করো
ইরশাদ হয়েছে, ‘ঋণের বিষয় লিখে রাখো।’
(সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৮২)
২০। আমানত রক্ষা করো
ইরশাদ হয়েছে, ‘আমানত রক্ষা করো।’
(সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৮৩)