দিবস

শিশু দিবস

সারা পৃথিবী জুড়ে শিশুদের সম্মানে ও শিশুদের প্রতি সহানুভূতি বৃদ্ধির জন্য শিশু দিবস পালিত হয়। বিশ্ব শিশু দিবস ২০ নভেম্বর ব্যাপক সম্মান ও আয়োজনের সাথে পালন করা হয়। তবে বিভিন্ন দেশ জাতীয় পর্যায়ে নিজ নিজ দেশে ভিন্ন ভিন্ন তারিকে শিশু দিবস উদযাপন করে থাকে। শিশুর নিরাপত্তা ও অধিকার রক্ষা করতে এই দিবসটি সারা বিশ্বের মানুষের মধ্যে শিশু প্রেম জাগিয়ে তোলে। তিন অক্টোবর থেকে সারাদেশে পালিত হবে বিশ্ব শিশু দিবস।
  • বাংলাদেশের জাতীয় পর্যায়ে 17 মার্চ কে শিশু দিবস হিসেবে পালিত হয়।
  • তবে বিশ্ব শিশু দিবস মূলত ২০ অক্টোবর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পালিত হয়।
  • ৪ অক্টোবর থেকে ১১ই অক্টোবর পর্যন্ত পালিত হবে শিশু অধিকার সপ্তাহ।

শিশু দিবসের স্লোগান :

গরীবের শিশু সোনার দেশ, ছড়িয়ে দিয়ে আলোর রেশ এই স্লোগানকে সামনে রেখে চারে অক্টোবর থেকে ১১ই অক্টোবর পর্যন্ত পালিত হবে শিশু অধিকার সপ্তাহ। শিশুর স্বাস্থ্য নিরাপত্তা ও অধিকার রক্ষায় বিভিন্ন দেশ ও বিদেশী প্রতিষ্ঠান চারে অক্টোবর থেকে ১১ অক্টোবর পর্যন্ত পালন করবে শিশু অধিকার সপ্তাহ। কর্মসূচি হিসেবে পালন করবে বিভিন্ন সভা,সেমিনার জনসচেতনতামূলক অনুষ্ঠান ইত্যাদি।

শিশু দিবসের কর্মসূচি :

বাংলাদেশ সরকার প্রতি বছর তিন অক্টোবর বিশ্ব শিশু দিবস পালন করে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় এ বছরও তিন অক্টোবর পালিত হয়েছে বিশ্ব শিশু দিবস এবং চার অক্টোবর থেকে ১১ অক্টোবর পর্যন্ত বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা। বাংলাদেশে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে এই দিবসকে কেন্দ্র করে।

শিশু দিবসের মহত্ব :

শিশুরাই জাতির ভবিষ্যৎ, আজকের শিশু আগামী দিনের দেশ ও বিশ্ব নেতৃত্বে ভূমিকা রাখবে। তাই শিশুর যত্নে অবহেলা প্রদর্শন করা উচিত নয়। বাংলাদেশের যথাযথ মর্যাদায় পালিত হচ্ছে দিবসটি। মহিলা ও শিশু মন্ত্রণালয় থেকে ব্যাপক কর্মসূচির মাধ্যমে বিশ্ব শিশু দিবসের মহত্ব বর্ণনা ও প্রতিষ্ঠা করতে চেষ্টা করছেন কর্তৃপক্ষ। দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন শিশু অধিকার রক্ষার প্রতিষ্ঠান এই দিবসের প্রয়োজনীয়তা জাতির নিকট পেশ করছেন। আজকের শিশুরাই যত্নে বেড়ে ওঠে আগামীতে সমাজ ও রাষ্ট্রের কল্যাণে নিজেকে নিবেদিত করতে পারবে। স্বাধীনতার স্থপতি বাংলাদেশের বাঙালি জাতির কর্ণধার শেখ মুজিবুর রহমান শিশুদের উন্নত ও নিরাপদ ভবিষ্যৎ বিনির্মাণের লক্ষ্যে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে শিশু দিবস তথা শিশুর স্বাস্থ্য, খাদ্য, ও নিরাপত্তার লক্ষ্যে কাজ করতেন।
আজকের শিশুরা আগামী দিনের সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার কারিগর হবে বলে স্বপ্ন দেখতেন। ১৯৭৪ সালে শেখ মুজিব সরকার শিশুদের অধিকার রক্ষায় আইন প্রণয়ন করেন। শিশুদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে শিশুশ্রম বন্ধ করে শিশুদের শিক্ষা ও উন্নত জীবন যাপনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার অবিরত কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ শিশু একাডেমী, ইউনিসেফ সহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি সংস্থা তিন অক্টোবর বিশ্ব শিশু দিবস উদযাপন এবং চার অক্টোবর থেকে ১১ই অক্টোবর পর্যন্ত শিশু সপ্তাহ উপলক্ষে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির অংশ হিসেবে পথশিশু পুনর্বাসন কার্যক্রম আয়োজিত চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা বিতর্ক প্রতিযোগিতার বিষয়ে আমরাই পারি শিশুশ্রম বন্ধ করতে। শিশুদের ছবি আঁকা এবং ছবি প্রদর্শনীর আয়োজন থাকবে জাতীয় শিশু অধিকার সপ্তাহে।
ব্র্যাক, ইউনিসেফ এর মত শিশু বান্ধব বেসরকারি সংস্থাগুলো এই দিবসের প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে জাতির নিকট উপস্থাপন করে যাচ্ছে। সেভ দা চিল্ড্রেন নামক সংস্থাটি বিভিন্ন শিশুদের নিয়ে দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থান পরিদর্শন করবেন। এছাড়াও শিশুদের উন্নত ভবিষ্যৎ বিনির্মাণের লক্ষ্যে বিভিন্ন ভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চেষ্টা করা হচ্ছে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে। এস ও এস চিলড্রেন্স ভিলেজেস বাংলাদেশের কর্মসূচি হিসেবে থাকবে শিশুদের কবিতা আবৃত্তি, ক্রিয়া প্রতিযোগিতা, বৃক্ষরোপন কর্মসূচি ও শিশু-কিশোরদের নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ঢাকা পরিদর্শন করবেন এই সংস্থাটি। এছাড়াও বিভিন্ন শিশু সংগঠনের রয়েছে শিশুদের শিক্ষা বিকাশ অধিকার ও সুরক্ষা বিষয়ে আলাদা আলাদা কর্মসূচি।

বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশুর উন্নয়নের কাজ করা সরকারি বেসরকারি সংগঠন :

বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ উদযাপনে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সহযোগী হিসেবে বিভিন্ন সরকারের বেসরকারি শিশুর উন্নয়ন বিষয়ে কাজ চালিয়ে যাওয়া প্রতিষ্ঠান সংযুক্ত রয়েছে উক্ত অনুষ্ঠানটি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার লক্ষ্যে। আন্তর্জাতিক ও দেশীয় উন্নয়ন সংস্থার মধ্যে রয়েছে ইউনিসেফ, শিশু অধিকার ফোরাম, জাতীয় কন্যা শিশু অ্যাডভোকেসি ফোরাম, বাংলাদেশ ইসিডি নেটওয়ার্ক, এস ও এস চিল্ড্রেন ভিলেজ, ওয়ার্ল্ড ভিশন, সেভ দ্য চিলড্রেন, আহসানিয়া মিশন ঢাকা, প্লান ইন্টারন্যাশনাল, ব্রাক, শাপলা নীড়, জাতীয় প্রতিবন্ধী ফোরাম, ডন ফোরাম সহ সি আই পি আর বি ও ফাউন্ডেশন শিশু সংগঠন ও সংস্থা নিরলস ভাবে চেষ্টা চালাচ্ছেন শিশুর স্বাস্থ্য ,মেধা ও নিরাপত্তা নিয়ে।

 বিশ্ব শিশু দিবস থেকে শিক্ষা :

বিশ্ব শিশু দিবস থেকে আমরা শিক্ষা নিতে পারি শিশুদের প্রতি জুলুম অত্যাচার প্রতিরোধে সোচ্চার হওয়া উচিত। শিশুশ্রম বন্ধ ও শিশু শিক্ষা নিশ্চিত করতে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সবাইকেই চেষ্টা করতে হবে। আজকের শিশু আগামী দিনে সমাজ ও রাষ্ট্রের ধারক বাহক হবে তাই সুস্থ মস্তিষ্কের শিশু যাতে মেধা ও মননের সহিত বড় হয়ে নেতৃত্বে এবং সমাজ ও রাষ্ট্রের কল্যাণে নিজেকে নিবেদিত করতে পারেন এই চেষ্টা করতে হবে। তবেই দেশ উন্নত ও নিরাপদ রাষ্ট্রে পরিণত হবে।

শেষ কথা

আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ কথাটি আমরা ছোটবেলা থেকেই শুনে আসছি। তবে এর ভাবগাম্ভীর্য বুঝতে পারছি বিশ্ব শিশু দিবস থেকে। কেননা এই দিনগুলিতে বিভিন্ন দেশি-বিদেশি সরকারি বেসরকারি সংগঠন শিশুদের উন্নত জীবনের কেন প্রয়োজন তা বিভিন্নভাবে উপলব্ধি করিয়ে থাকেন। তাই আমাদের পরিবারের শিশু থেকে শুরু করে সমাজ ও রাষ্ট্রের সমস্ত শিশুর স্বাস্থ্য, খাদ্য, শিক্ষা ও উন্নত নিরাপদ ভবিষ্যৎ বিনির্মাণের কাজ করতে হবে। বিশ্ব শিশু দিবস ও বাংলাদেশে বিভিন্ন আয়োজনে বিশ্ব শিশু দিবস ও কন্যা শিশু দিবস পালিত হচ্ছে। তাই আমাদের প্রত্যেককে দায়িত্বশীল হতে হবে শিশুদের জন্য। উপরোক্ত পোস্ট পড়ে আপনি কি অনুভব করছেন কমেন্ট বক্সে জানাবেন।

Ratul

আমি রাতুল, এটা আমার ডাক নাম। এই নামে আমার এলাকার সবাই আমাকে চিনবে তবে বাইরের কেউ হয়তো চিনবে না। আমি বিশ্বাস করি সফলতা ভাগ্য এবং পরিশ্রমের দ্বারা নির্ধারিত। এই ব্লগটি আমি সখ করে তৈরি করেছি, এবং এটিই আমার ১ম ব্লগ। আশা করি আপনাদের বিভিন্ন তথ্য দিয়ে উপকৃত করতে পারবো। ধন্যবাদ সবাইকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *