দিবস

১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবসের ভাষণ

প্রিয় ভিউয়ার্স আপনাদেরকে আমাদের পেজে স্বাগতম। আপনারা সবাই কেমন আছেন আশা করি ভাল আছেন। আমরাও আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি।আজ আমরা আপনাদের মাঝে ১৬ই ডিসেম্বরে  যে বিজয় দিবস সেই বিজয় দিবস উপলক্ষে যে ভাষণ আপনারা দিতে পারবেন বিভিন্ন স্থানে। সেই ভাষণ দিয়ে আমাদের এই পোস্টটি আপনাদের জন্য সাজিয়েছি। আপনারা বিভিন্ন ওয়েবসাইটে বিজয় দিবসের ভাষণ খুঁজতেছেন। হয়তো বা আপনাদের মনের মত সুন্দর করে সাজানো-গোছানো বিজয় দিবসের ভাষণ পাচ্ছেন না। তাই হয়তো বা সেই ভাষণ গুলো আপনারা সংগ্রহ করে নিজের আয়ত্তে নিতে চাচ্ছেন না। কিন্তু আপনাদের বিজয় দিবসের ভাষণ খুব প্রয়োজনীয়। সামনে চলে আসছে বিজয় দিবস।

আর সেই বিজয় দিবসে ভাষণ দেওয়া প্রয়োজন আপনাদের জন্য। তাই আপনাদের এমন সুবিধার কথা চিন্তা করে আমরা আজ আপনাদের মাঝে বিজয় দিবসের ভাষণ। অর্থাৎ বিজয় দিবসের ঘটনাটি সুন্দর করে সাজিয়ে একটি ভাষণের রূপ আকার  তৈরি করেছি। আমরা আশা করব ,আমাদের এই পোস্টটি আপনাদের খুব ভালো লাগবে এবং কাজে লাগবে। আমাদের এই পোস্টটি ভিজিট করলেই আপনি পেয়ে যাবেন আপনার মনের মতো বিজয় দিবসের ভাষণ। আর যা কিনা আপনার প্রয়োজন এবং আপনি আপনার প্রয়োজন মিটাতে পারবেন। আর আপনি এই বিজয় দিবসের ভাষণটি সংগ্রহ করেছেন কোন স্থানে ভাষণ দিতে পারবেন। তবে চলুন আর দেরি না করে আমাদের সঙ্গেই থাকুন আর দেখতে থাকুন।

১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবসের ভাষণ

প্রথমেই আপনাদের সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি। ১৬ই ডিসেম্বর অর্থাৎ বিজয় দিবস উপলক্ষে আজ আমি আপনাদের মাঝে কিছু কথা বলার জন্য এসেছি। ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস এটা আমরা সবাই জানি। আর এই দিনটিকে কেন্দ্র করে আমরা বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে থাকি। ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস এটাকে সরকারি ছুটির দিন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। বিজয় দিবস কিভাবে আমাদের মাঝে অর্জিত হয়েছে এর মূল কাহিনী ইতিহাস আমাদের সবার জানা প্রয়োজন । বিজয় দিবস আমাদের মাঝে এমনি এমনি আসে নাই আর আমরা এই দিনটিকে খুব সহজেই পেয়ে যাইনি।

এই দিনটি পৃথিবীর বুকে স্থাপিত করার জন্য ৩০ লক্ষ জনতা তাদের জীবনের কথা না ভেবে দেশের কথা ভেবে দেশে কে পাকিস্তানিদের হাত থেকে রক্ষা করার  জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ছিলেন। ১৯৭১ সালে যখন পাকিস্তানী পাকহানাদার বাহিনীরা বাঙ্গালীদের  উপর অত্যাচার করতে ছিল তখন বাঙালিরা ছিল নিরস্ত্র। নিরস্ত্র বাঙালি পেয়ে পাকহানাদার তাদের অস্ত্র ব্যবহার করে নির্মমভাবে হত্যা করতেছিল। রাস্তাঘাট রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল তখন । কিন্তু বাঙালি মৃত্যুর ভয় পেয়ে ঘরে চুপ করে বসে থাকি নি। বাঙালি তার যা কিছু আছে সেগুলো নিয়ে পাকহানাদার  বাহিনীদের সামনে ঝাঁপিয়ে পড়েছে।

দেশকে রক্ষা করতে মা-বোনকে রক্ষা করতে দেশের ভাষা কে রক্ষা করতে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন রেসকোর্স ময়দানে ভাষণ দিয়েছিলেন যে রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দেবো কিন্তু এ দেশকে রক্ষা করে ছাড়বো। ৭ই মার্চ তার এই ভাষণ জনতাকে অনেক বেশি সাহস যুগিয়ে ছিল। যে সাহসের ফলে জনতা রুখে দাড়িয়েতে ছিল। পাকহানাদার বাহিনীদের সামনে।যুদ্ধটি ছিল ন্যায়ের বিরুদ্ধে, বিজয়ের বিরুদ্ধে, পরাধীনতার বিরুদ্ধে ,মায়ের মুখের ভাষার বিরুদ্ধে। আমরা মায়ের বুকে জন্ম নিয়ে যে ভাষায় কথা বলি ওটি হচ্ছে আমার মায়ের ভাষা। আর আমার সেই মায়ের মুখের বুলি পাকিস্তানিরা যখন কেড়ে নিতে চেয়েছিলেন। তখন সেই ভাষাকে তো আর পাকিস্তানিদের ইচ্ছামতো উর্দু ভাষায় পরিণত করতে দিতে পারি না।

এজন্যই দেশের দামাল ছেলেরা রুখে দাঁড়িয়ে ছিলেন পাকিস্তানিদের উপর।মাকে ভালোবাসি মায়ের মুখের ভাষাকে ভালবাসি দেশ কে ভালবাসি দেশের জনতা কে ভালবাসি দেশের সার্বভৌমত্ব কে ভালবাসি সর্বোপরি দেশকে রক্ষা করা আমাদেরই কর্তব্য। এ সকল কথা মাথায় রেখে মৃত্যুকে পরাজয় করে ছিনিয়ে নিয়ে আসলো বিজয় আর এ বিজয় আমাদের মধ্যে এসে আমাদের বিশ্বে করে দিয়েছে এক দৃষ্টান্ত।পৃথিবীর বুকে আমরা যেভাবে আমাদের বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব পেয়েছি এটা স্বর্ণ অক্ষরে লেখা আছে। পৃথিবী আজীবন মনে রাখবে আমাদের এই আত্মত্যাগের কথা। পৃথিবী আজীবন মনে রাখবে মুক্তিযুদ্ধের কথা। তাই এই মহান বিজয় দিবস আমরা উদযাপিত করি খুশি আর আনন্দের মধ্য দিয়ে। এই আনন্দ যারা আমাদের কাছে এনে দিয়েছে তাদের মন থেকে গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানাই।

সর্বশেষে বলতে  চাই যে এতক্ষন আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ। আপনাদের মূল্যবান সময় আমাদের সঙ্গে দেবার জন্য আপনাদেরকে আন্তরিক শুভেচ্ছা। আমরা এতক্ষণ চেষ্টা করছি আপনাদের সামনে তুলে ধরার জন্য মহান বিজয় দিবসের ভাষণ। জানিনা আমাদের এই পোস্টটি থেকে আপনাদেরকে কতটুকু দিতে পারছি।

তবে আশা রাখছি আমাদের এই পোস্টটি আপনাদের ভালো লাগবে এবং আপনারা এই পোস্টটি সংগ্রহ করে মহান বিজয় দিবসে যে কোন স্থানে ভাষণ দিতে পারবেন। তবে আজ আর নয় আবার অন্য কোনদিন অন্য কোন পোস্টে আপনাদের সঙ্গে দেখা হবে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আপনাদের দীর্ঘায়ু কামনা করছি আল্লাহ হাফেজ।a

Ratul

আমি রাতুল, এটা আমার ডাক নাম। এই নামে আমার এলাকার সবাই আমাকে চিনবে তবে বাইরের কেউ হয়তো চিনবে না। আমি বিশ্বাস করি সফলতা ভাগ্য এবং পরিশ্রমের দ্বারা নির্ধারিত। এই ব্লগটি আমি সখ করে তৈরি করেছি, এবং এটিই আমার ১ম ব্লগ। আশা করি আপনাদের বিভিন্ন তথ্য দিয়ে উপকৃত করতে পারবো। ধন্যবাদ সবাইকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *