ছাত্রলীগ নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সেরা উক্তি স্ট্যাটাস বাণী
![](https://happybangla.com/wp-content/uploads/2022/09/download-34.jpg)
প্রিয় ভিউয়ার্স আপনাদেরকে আমাদের পেজে স্বাগতম। আজ আমরা আপনাদের মাঝে আলোচনা করতে এসেছি বঙ্গ ছাত্রলীগ নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সেরা উক্তি স্ট্যাটাস বাণী। ছাত্রলীগ এই দলটি গঠিত হয়েছে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে।আর তিনি ছাত্রলীগদের জন্য যে সকল উক্তি স্ট্যাটাস বানিয়ে রেখে গেছে সেগুলো ছাত্রলীগকে অনুপ্রেরণা যোগাবে সামনের জীবনে অগ্রসর হতে।
আমাদের এই পোস্টটি আপনি পাঠ করলে বুঝতে পারবেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছাত্রলীগ নিয়ে কি কি উপাধি দিয়ে গেছিল সেই তথ্য আমাদের এই পোস্টটিতে শেয়ার করা হবে।
১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের। ফজলুল হক হলের এসেম্বলি হলে ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সময়ে এ ছাত্রলীগের নাম ছিল পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ। প্রতিষ্ঠার পর থেকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অধিকার সংক্রান্ত আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ছাত্রলীগ। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই, শিক্ষার অধিকার, বাঙালি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, স্বাধীনতা অর্জনের অধিকার। এমন সব আন্দোলনের জন্য বঙ্গবন্ধুর উক্তিগুলোই খুব কাজে লাগছে ছাত্রলীগের । ছাত্রলীগের জনক হচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। চলুন দেরি না করে আমাদের সঙ্গেই থাকুন আর দেখতে থাকুন।
ছাত্রলীগ নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সেরা উক্তি:
১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠার পর। সর্বপ্রথম মাতৃভাষা বাংলার জন্য সংগ্রাম করেছিল।আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ভূমিকা অত্যন্ত বেশি ছিল। ১৯৫২ সালে রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই এই দাবি নিয়েই রাজপথে নামে আন্দোলন। আর সেই নেতৃত্ব প্রদান করে থাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলা রাজপথে চলে এসেছিল ছাত্রলীগের সকল মানুষেরা। তারা তাদের নিজের জীবনের মায়া না করে ভাষার জন্য যুদ্ধ করতে ছিল।
বঙ্গবন্ধুর উক্তিগুলোই ছিল ছাত্রলীগের সামনে এগিয়ে চলার অনুপ্রেরণা যোগানো। ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। যাতে ছাত্রলীগ বঙ্গবন্ধুর ভ্যানগার্ড ছিল। ১৯৫২ সালের শিক্ষা আন্দোলনে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের অগ্রসর ভূমিকা ছিল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার উক্তি প্রদান করে থাকে এমন ভাবে যে নেতার মৃত্যু হতে পারে কিন্তু আদর্শ বজায় রাখলে। সংগঠনের মৃত্যু হবে না। এ উক্তিটি দ্বারা তিনি ছাত্রলীগকে কি বুঝিয়েছেন।এটি দ্বারা তিনি বুঝাতে চেয়েছেন ছাত্রলীগদের যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মারা যেতে পারে কিন্তু তার রেখে যাওয়া যে সংগঠন অর্থাৎ ছাত্রলীগ এটার কখনো মৃত্যু ঘটবে না।
আর তার দেওয়া উক্তিগুলো মনে রেখে সামনের দিক অগ্রসর হবে। শেখ মুজিবুর রহমান হচ্ছে দিক প্রদর্শক ছাত্রলীগের।তার এই ভালো নেতৃত্বে যেন আজ আমরা পেয়েছি বিশ্বের বুকে একটি স্বাধীন বাংলাদেশ । ১৯৭১ সালে ৩ এ মার্চ বঙ্গবন্ধু ছাত্রলীগের এক সমাবেশে বলেছিলেন, দানবের সাথে লড়াইয়ে যেকোনো পরিণতিকে মাথা পেতে বরণ করার জন্য আমরা প্রস্তুত ।২৩ বছর রক্ত দিয়ে এসেছি। প্রয়োজনে বুকের রক্ত গঙ্গা বইয়ে দিব। তবুও সাক্ষাৎ মৃত্যুর বুকে দাঁড়িয়েও বাংলা শহীদদের রক্তের সাথে বেইমানি করব না।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সম্মেলন ১৯৭২ সালের ২৩ শে জুলাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে উক্তিটি দিয়েছিলেন ,রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা এনেছো, রক্ত দিয়েই স্বাধীনতা রক্ষা করতে হবে। ১৯৭৪ সালের ১৪ই ফেব্রুয়ারিতে বঙ্গবন্ধুর উক্তি ছিল। আমি দেখতে চাই যে ছাত্রলীগের ছেলেরা যেন ফার্স্ট ক্লাস বেশি পায়, আমি দেখতে চাই ওই যে ছাত্রলীগের ছেলেরা যে কি কয় ,নকলই পরীক্ষা না দিয়ে পাস করা এই বিরুদ্ধে আন্দোলন করবে। ছাত্রলীগ সবসময় ন্যায়ের পথে চলবে অন্যায়কে সবসময় প্রতিবাদ করবে।বঙ্গবন্ধু রেখে যাওয়া যে ছাত্রলীগ সংগঠন এটা সবসময় বঙ্গবন্ধুর অনুপ্রেরণা অনুযায়ী চলবে ।আর তার নেতৃত্ব দেওয়ার কথা মনে রেখে আগামী দিনগুলো আরো উন্নয়ন ঘটাবে পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশের জন্য।
সর্বশেষে বলতে চাই যে ,এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাদেরকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমাদের পোস্টে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ছাত্রলীগের কিছু উক্তি তুলে ধরেছি। যেগুলো ছাত্রলীগের বিভিন্ন প্রোগ্রামের জন্য প্রয়োজন পড়বে। তাই আশা রাখছি, আমাদের দেওয়া পোস্টটি আপনাদের ভালো লাগবে।
এ পোস্টটি পড়ে ছাত্রলীগের বিভিন্ন প্রোগ্রামে ভাষণ প্রদান করতে পারবেন।তবে আজ আর নয় আবার অন্য কোনদিন অন্য কোন পোস্টে আপনাদের সঙ্গে দেখা হবে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, আপনাদের দীর্ঘায়ু কামনা করছি ,আল্লাহ হাফেজ।