দিবস

বিশ্ব এইডস দিবস – তারিখ, ইতিহাস,শুভেচ্ছা বার্তা, উক্তি, স্ট্যাটাস, ছবি

এইচআইভি সংক্রমণের জন্য এডস মহামারী ছড়িয়ে পড়া বিরুদ্ধে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে এবং যারা এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন তাঁদের প্রতি শোক পালন করতে দিনটিকে বেছে নেওয়া হয়েছে। বিশ্ব এইডস দিবস একটি আন্তর্জাতিক দিবস। সরকারি ও স্বাস্থ্য অধিকারী কোন বেসরকারি সংস্থাগুলো এবং বিশ্বের বিভিন্ন ব্যক্তির প্রতিরোধ এবং নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সকলের সচেতনত করতে এই দিনটি পালন করে। আপনি যদি বিশ্ব এইডস দিবস সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে এই নিবন্ধটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

বিশ্ব এইডস দিবসের ইতিহাস

বিশ্বব্যাপী এইচআইভি সংক্রমণের হার শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার জন্য জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্য নিয়ে বিশ্ব এইডস দিবস পালন করা কথা চিন্তা আসে প্রথম বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই সম্পর্কিত বিশ্ব কর্মসূচির দুজন তথ্য কর্মকর্তা জেমস ডব্লু বুন এবং টমাস নেটটার । তারাই সর্বপ্রথম সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এর বিশ্ব কর্মসূচির সম্মেলনে এডস দিবস পালনের পরিকল্পনা করেন। পরে ডক্টর মান এই ধারণাটি পছন্দ করে এটি অনুমোদন করেন। ১৯৮৮ সালের পহেলা ডিসেম্বর বিশ্ব এইডস দিবস কে প্রথম পালন করা উচিত এমন পরামর্শের সাথে একমত হন। সানফ্রান্সিসকোর প্রাক্তন টেলিভিশন সম্প্রচার সাংবাদিক বুন পহেলা ডিসেম্বর তারিখটি সুপারিশ করেছিলেন। মূলত সেই পর থেকেই পহেলা ডিসেম্বর বিশ্ব এইডস দিবস পালন করা হচ্ছে।

বিশ্ব এইডস দিবস কবে?

প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ মানুষ বিশ্ব এইডস দিবস সম্পর্কে ইন্টারনেটে অনুসন্ধান করে। কারণ বিভিন্ন প্রয়োজনে বিশ্ব এইডস দিবস সম্পর্কে জানা মানুষের অত্যন্ত প্রয়োজন। তাছাড়া প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় বিশ্ব এইডস দিবস এর তারিখ জানতে চাওয়া হয়। এইজন্য বিশ্ব এইডস দিবস সম্পর্কে জানা সকলেরই প্রয়োজন। বিশ্ব এইডস দিবস পালন করা হয় প্রতি বছর পহেলা ডিসেম্বর।

বিশ্ব এইডস দিবসের প্রতিপাদ্য

পৃথিবীব্যাপী মানুষকে এর সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করার জন্য বিশ্ব এইডস দিবস পালন করা হয়ে থাকে। প্রতিবছর বিভিন্ন বিভিন্ন প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে এডস দিবস ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালিত হয়। বিশ্ব এইডস দিবস পালনের মূল লক্ষ্য অন্তর্নিহিত থাকে তার প্রতিপাদ্য বিষয়। 2020 সালের বিশ্ব এইডস দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল।‘সারা বিশ্বের ঐক্য, এইডস প্রতিরোধে সবাই নিব দায়িত্ব’ 

বিশ্ব এইডস দিবস বার্তা

এইডস দিবস পালনের মূল লক্ষ্য হলো এর সম্পর্কে মানুষকে সম্পূর্ণভাবে অবহিত করা। এইচ আই ভি এডস ভাইরাস দ্বারা এই রোগটি ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেরই ধারণা এইচ আই ভি ভাইরাসটি অত্যন্ত ছোঁয়াচে। ভাইরাসটি সম্পর্কে এরকম ধারনা মোটেই ঠিক নয়। ভাইরাসটি ছোঁয়াচে হলেও এটি একজন মানুষ থেকে আরেকজন মানুষের এমনি এমনি যায় না। যেমনটা ফ্লু ভাইরাস করোনাভাইরাস এরকম।

বিশ্ব এইডস ভাইরাসের সচেতনতা মূলক কিছু কথা

এইচ আই ভি একটি ছোঁয়াচে রোগ হলেও, এটি কিছু নিয়ামক এর মাধ্যমে একজন থেকে আরেকজনের ছড়িয়ে পড়ে। কি কি উপায়ে ছড়িয়ে পড়ে নিচে আলোচনা করা হলো।

  • অবাধ যৌন মিলনে একজন মানুষের থেকে আরেকজন মানুষের এইচআইভি ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে।
  • একজন hiv-positive মানুষের রক্ত নিলে এই হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
  • তাই রক্ত নেওয়ার সময় অবশ্যই পরিচিত মানুষের কাছ থেকে রক্ত নেওয়া প্রয়োজন। অথবা যে লোকের কাছে রক্ত নিচ্ছেন তার এইচআইভি আছে কিনা তা টেস্ট করা দরকার।
  • দ্বিতীয়তঃ বর্তমান আধুনিক যুগের অন্যতম একটি বিষয় হচ্ছে অবাধ যৌন মিলন। এই যৌনমিলনের সময় যদি আপনার পার্টনার এই এইচ আই ভি তে আক্রান্ত হয়ে থাকে তাহলে আপনার হওয়ার সম্ভাবনা বহুগুণ বেড়ে যায়।
  • তাই যৌনমিলনের সময় নিরাপত্তা জনিত বিষয়টি খেয়াল রাখা দরকার।

Ratul

আমি রাতুল, এটা আমার ডাক নাম। এই নামে আমার এলাকার সবাই আমাকে চিনবে তবে বাইরের কেউ হয়তো চিনবে না। আমি বিশ্বাস করি সফলতা ভাগ্য এবং পরিশ্রমের দ্বারা নির্ধারিত। এই ব্লগটি আমি সখ করে তৈরি করেছি, এবং এটিই আমার ১ম ব্লগ। আশা করি আপনাদের বিভিন্ন তথ্য দিয়ে উপকৃত করতে পারবো। ধন্যবাদ সবাইকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *