নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস – তারিখ, প্রতিপাদ্য বিষয়, ইতিহাস, শুভেচ্ছা বার্তা, উক্তি, স্ট্যাটাস, ছবি
নিরাপদ মাতৃত্ব দেশ ও বিশ্বের একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিবস। নিরাপদ মাতৃত্ব সম্পর্কে ধারণা না থাকায় বিভিন্ন দেশের নবজাতকদের অকালে মৃত্যু হয় হয়। এর বেশি প্রভাব পড়ে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে। মাতৃত্ব সম্পর্কে ধারণা না থাকায় অসচেতনতার কারণে মা ও নবজাতকের মৃত্যুর হার ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলছে
মাতৃত্ব বলতে কি বুঝায় ?
মাতৃত্ব বলতে সাধারণত মা ও নবজাতকের সুস্থতা রক্ষার জন্য সঠিক নিয়মে ডেলিভারি করানো। নিরাপদ মাতৃত্বের উদ্দেশ্য হলো মা ও শিশুর মৃত্যু কমানো এবং শিশুর সুস্থতার পদ্ধতি অবলম্বন করা।
মাতৃত্ব দিবসের ইতিহাস :
সর্বপ্রথম ১৯৮৭ সালে কেনিয়ার নাইবোরিয়ার এক কনফারেন্সে নিরাপদ মাতৃত্ব দিবসের ঘোষণা করা হয়। যার উদ্দেশ্য ছিল ২০০০ সালের মধ্যে মাতৃ ও শিশুমৃত্যুর হার ৫০ ভাগ কমানো। সেই থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নিরাপদ মাতৃ দিবস পালন করা হয়। বিশ্বে গড়ে প্রতিদিন প্রায় এক লাখ এর মধ্যে ১৬০ জন মারা যায় ।২০৩০ সালের মধ্যে 1 লাখের মধ্যে 70 জন নিয়ে আসার পরিকল্পনা করেন ।অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও মাতৃ মৃত্যুর হার অনেক বেশি। ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশে প্রথম মাতৃ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং অনুমোদন পায়। ২০১৫ শালী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই উদ্যোগটি আরও শক্তিশালী করার জন্য উন্নয়নের অন্তর্ভুক্ত করে। ২০০০ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে মাতৃমৃত্যুর হার কমেছে প্রায় 38 ভাগ ।
নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস কবে?
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস পালন করেন বিভিন্ন তারিখে, তবে অধিকাংশ দেশেই এটাই সেই মেয়ে এই দিবসটি পালন করেন। কিন্তু ভারতে পালন করা হয় ১১ এপ্রিল। ভারতের সফল নেতা গান্ধীজীর স্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে ২০০৩ সাল থেকে ১১ এপ্রিল নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস পালন করে আসছেন। বাংলাদেশ 28 শে মে প্রতিবছর নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস পালন করা হয়।
নিরাপদ মাতৃত্বের কৌশল: বিশেষজ্ঞরা নিরাপদ মাতৃত্বের তিনটি কৌশল উপস্থাপন করেন
১, কমিউনিটিতে
২, রেফারেল এর সুবিধা
৩, যোগাযোগের উন্নতিকরণ ।
বিশেষজ্ঞরা আরো উল্লেখ করেন যে নিরাপদ মাতৃত্বের ভিত্তি ছয়টি ।
পরিবার পরিকল্পনা,গর্ভাবস্থায় মায়ের সেবা, প্রসবকালীন মা ও নবজাতকের সেবা, প্রসব পরবর্তী সেবা,গর্ভপাত সেবা, যৌন রোগ এইচআইভি নিয়ন্ত্রণ
মাতৃ মৃত্যুর প্রধান কারণ: মাতৃ মৃত্যুর প্রধান কারণ দুটি
ক. প্রত্যক্ষ
খ.পরোক্ষ
প্রত্যক্ষ: প্রত্যক্ষ কারণ গুলো হল সংক্রমণ, উচ্চরক্তচাপ প্রসবকালীন জটিলতা, নিরাপদ গর্ভপাত ইত্যাদি সম্পর্কে ধারণা না থাকা বা অসচেতন হওয়া।
পরোক্ষ : পরোক্ষ মাতৃমৃত্যুর কারণের মধ্যে অন্যতম হলো তিনটি দিক,
১. তিনটি পর্যায়ে বিলম্ব করা
ক, সঠিক সময়ে সেবা গ্রহণের সিদ্ধান্ত না নেওয়া।
খ, হাসপাতালে পৌঁছানো
গ, সেবা প্রদানের বিলম্ব করা
সঠিক সময়ে সেবা গ্রহণের সিদ্ধান্ত : অনেক সময় দেখা যায় সঠিক সময়ে কেউ সেবা গ্রহণ করেনা তাই মাতৃ মৃত্যুর ও নবজাতকের মৃত্যু হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
হাসপাতালে পৌঁছানো : বাংলাদেশ একটি গ্রাম অঞ্চল দেশ। অধিকাংশ গ্রামাঞ্চলের রাস্তাঘাট বা যাতায়াত ব্যবস্থা সুবিধার নয়, তাই কোন সমস্যার সম্মুখীন হলে হাসপাতালে যেতে অনেক সময় লাগে। তান্ত্রিক সমস্যার কারণে সঠিক সময় হাসপাতালের পৌঁছানো সম্ভব হয়ে ওঠেনা মাতৃমৃত্যুর মৃত্যুর সম্ভাবনা থাকে।
দারিদ্রতা : মাতৃমৃত্যুর একটি বড় কারণ হল দারিদ্রতা, দরিদ্র পরিবার থেকে মায়ের সঠিক মত সেবা-যত্ন করতে পারেনা তাই মা ও শিশুর অকালে মৃত্যুর সম্ভাবনা থাকে বেশি।
কালচারাল প্রাক্টিস: কালচারাল প্যাকটিস বলতে সাধারণত নিয়ম-নীতিকে বুঝানো হয়েছে, বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের মানুষজন কোন নিয়ম নীতি ছাড়াই বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করে যাতে করে নবজাতকের জীবন ঝুঁকির মুখে পড়ে যায়।
এই পোস্টে, আমরা জাতীয় নিরাপদ মাতৃত্ব দিবসের উদ্ধৃতি, শুভেচ্ছা, বার্তা এবং শুভেচ্ছার একটি সংগ্রহ নিয়ে এসেছি যা ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ এবং ইনস্টাগ্রামে একটি চমৎকার শেয়ার করে।
একজন মায়ের স্বাস্থ্য সন্তানের স্বাস্থ্যের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ কারণ সন্তানের স্বাস্থ্য মায়ের স্বাস্থ্যের উপর নির্ভর করে। জাতীয় নিরাপদ মাতৃত্ব দিবসের শুভেচ্ছা।
জাতীয় নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস উপলক্ষে, আসুন আমরা গর্ভাবস্থা এবং মাতৃত্ব সম্পর্কে আরও বেশি সচেতনতা তৈরিতে হাত মেলাই। শুভ জাতীয় নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস।
জাতীয় নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস উপলক্ষে আন্তরিক শুভেচ্ছা। মাতৃত্ব একটি যাত্রা এবং এটিকে আরও সুন্দর করে তোলার উপায় আমাদের অবশ্যই জানতে হবে।
এই পৃথিবীতে একটি সন্তান আনা সহজ নয় এবং তাই, আমাদের অবশ্যই প্রত্যাশিত মা এবং তাদের পরিবারকে তাদের সন্তান জন্মদানের বিষয়ে সবকিছু জানতে হবে। জাতীয় নিরাপদ মাতৃত্ব দিবসের শুভেচ্ছা।