বাবা দিবস: তারিখ, ইতিহাস, উক্তি, স্ট্যাটাস, ছবি
থিবীর সকল বাবাকে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য বাবা দিবসের সূচনা করা। প্রত্যেক সন্তানের জীবন বাবাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় হিরো। প্রত্যেক সন্তান তার বাবার মতই নিজেকে গড়ে তোলার চেষ্টা করে। তাই বাবা দিবসকে সকল বাবাকে জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা। আজ বাবা দিবস বাবা দিবস উপলক্ষে আপনি যদি ইন্টারনেটে অনুসন্ধান করে থাকেন তাহলে আপনাকে এই নিবন্ধে স্বাগতম। আজ এই নিবন্ধে বাবা দিবসের স্ট্যাটাস হব্বি ইতিহাস সহ যাবতীয় বিষয়ে আলোচনা করা হবে।
বাবা দিবস কবে পালন করা হয়?
প্রতিবছর জুন মাসের তৃতীয় রবিবার বিশ্বজুড়ে পালিত হয় বাবা দিবস।
নিজের গায়ের রক্ত পানি করে নিজের সকল সুখ বিসর্জন দিয়ে যে মানুষটি আপনাকে সবচেয়ে সুখে রাখার চেষ্টা করছেন তিনি হলেন বাবা। তাই এই মানুষটিকে অবহেলা করার কোনো কারণ নেই। বাবা দিবসে বাবাকে সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্য আপনি হয়তো ইন্টারনেটে বাবা দিবসের তারিখ খুঁজছেন? তাহলে উত্তরটি জেনে নিনঃ প্রতিবছর জুন মাসের তৃতীয় রবিবার বিশ্বজুড়ে পালিত হয় বাবা দিবস।
বাবা দিবসের ইতিহাস
আমেরিকার পশ্চিম ভার্জেনিয়ার ফেয়ারমন্টের এক গির্জায় ১৯০৮ সালের ৫ জুলাই এই দিনটি প্রথমবারের মতো পালিত হয়। অবশ্য সনোরা স্মার্ট ডড নামের ওয়াশিংটনের এক ভদ্রমহিলার মাথাতেও বাবা দিবসের আইডিয়া আসে। সেটা ১৯০৯ সালের কথা। মজার ব্যাপার হচ্ছে, ভার্জিনিয়ার বাবা দিবসের কথা তিনি জানতেনই না! সনোরা ছিলেন ৬ ভাইবোনের মধ্যে সবার বড়। সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে মা ইলেন স্মার্ট যখন মারা যান, তখন সোনোরার বয়স ছিল মাত্র ষোলো বছর। মা মারা যাওয়ার পর বাবা উইলিয়াম জ্যাকসন স্মার্ট কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন সন্তানদের মানুষ করার দায়িত্ব। পেশায় কৃষক উইলিয়াম শত ব্যস্ততার মধ্যেও তাদের মায়ের অভাব এতটুকু বুঝতে দেননি।
একবার মা দিবসের অনুষ্ঠানে চার্চে যান সনোরা। তখনই তার মাথায় এ চিন্তাটা আসে। মায়েদের সম্মান জানানোর জন্য একটি দিন যদি থাকতে পারে, বাবাদের জন্য কেন নয়? তারপর বিশেষ একটি দিনে বাবার প্রতি সম্মান জানানোর প্রয়োজনীয়তা নিয়ে জনমত গড়ে তোলেন তিনি। এরপর নানা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ১৯১০ সালের ১৯ জুন, অর্থাৎ জুন মাসের তৃতীয় রবিবার বড় পরিসরে প্রথম বাবা দিবস পালিত হয়। প্রথম আনুষ্ঠানিক বাবা দিবসে শহরের তরুণ-তরুণীরা দুটি করে গোলাপ নিয়ে যান চার্চে। একটি লাল, অন্যটি সাদা। লাল গোলাপ জীবিত পিতার শুভেচ্ছার জন্য, আর সাদা গোলাপ মৃত পিতার আত্মার তুষ্টির জন্য। বিষয়টি পুরো মার্কিন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে তা প্রশংসিত হয় ব্যাপকভাবে। ধীরে ধীরে বিভিন্ন রাষ্ট্রে শুরু হয় বাবা দিবস উদযাপন। ১৯১৯ সালে পুরো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ‘বাবা দিবস’ পালন করা হয়। কিন্তু তারপরেও এটাকে জাতীয়ভাবে পালনে কংগ্রেসের নানা দ্বিধা ছিল। অবশেষে ১৯৬৬ সালে ৫৬ বছর পর বাবা দিবসকে জাতীয় মর্যাদা দেওয়া হয়।
বাবাকে নিয়ে উক্তি
বাবা প্রত্যেকের কাছে সবচেয়ে প্রিয় মানুষ। বাবাকে মানুষ জান প্রাণ সবকিছু দিয়ে ভালবাসে। পৃথিবীর বিখ্যাত জ্ঞানীগুণী মনীষীগণ বাবাকে নিয়ে বিখ্যাত বিখ্যাত কিছু উক্তি করে গেছে। আমরা এক নজরে বাবাকে নিয়ে কিছু উক্তি দেখে আসব।
পৃথিবীতে একটি মেয়েকে তার বাবার চেয়ে কেউ বেশি ভালোবাসতে পারবে না।
— মাইকেল রাত্নাডিপাক
২. একজন বাবা বলে না যে সে তোমাকে ভালোবাসে বরং তিনি দেখিয়ে দেন যে তিনি তোমাকে ভালোবাসে।
— দিমিত্রি থে স্টোনহার্ট
৩. একটা মেয়ের জীবনে বাবায় হলে প্রথম পুরুষ এবং তিনি হলেন সবচেয়ে অনুপ্রেরণাদায়ক পুরুষ।
— ডেভিড জেরেমিয়াহ
৪. একজন বাবার হৃদয় হল প্রকৃতির এক অপার স্থান।
— এন্টনি ফ্রানকোই প্রিভোস্ট
৫. যে কোন পুরুষই বাবা হতে পারে তবে প্রকৃত বাবা হতে কিছুটা বিশেষত্ব দরকার।
— অ্যানি গেডেস
বাবা দিবসের স্ট্যাটাস
বর্তমান এই সোশ্যাল মিডিয়ায় যেকোনো অকেশন নিয়ে মানুষ সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ট্যাটাস দিতে পছন্দ করে। অনেকেই হয়তো উপযুক্ত স্ট্যাটাস দেওয়ার মত আইডিয়া খুঁজে পান না। তাই আজকে আমরা বাবা দিবসের কিছু স্ট্যাটাস দেওয়ার আইডিয়া নিচে শেয়ার করলাম।
” বাবা নামটা উচ্চারিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যে কোন বয়সী সন্তানের হ্রদয়ে শ্রদ্ধা কৃতজ্ঞতা আর ভালোবাসার এক অনুভব জাগে ।”
” একজন বাবা তার সন্তানের জন্য কতভাবে অবদান রেখে যান, তার চুলচেড়া হিসাব কেউ কোনদিন বের করতে পারবে না ।”
” বাবার পা কি অন্য সবার চেয়ে অনেক দ্রুত চলে ? নইলে এতোটা পথ এত অল্প সময়ে কি করে এত শক্ত করে সব কিছু আগলে রাখেন বাবা ।”
বাবা দিবসের ছবি
সেই ছোটবেলায় বাবার হাত ধরে কোথাও বেড়াতে যাওয়া। বাবার হাত ধরে স্কুলে যাওয়ার সেই মুহূর্তটির কথা কে বলতে পারে। বাবার সাথে সকল খুনসুটির ছোট ছোট মুহূর্তের কিছু ক্যাপশন আমরা এখানে তুলে। এই ক্যাপশনগুলো দেখলে আপনার বাবার সাথে কাটানোর সেই শৈশবের কথা গুলো মনে পড়বে।
আমরা এই ওয়েবসাইটে বিভিন্ন জাতীয় দিবস সম্পর্কে আলোচনা করে থাকি। তাই পরবর্তী দিবসের আপডেট পেতে আমাদের এই বিষয়টির সাথে থাকুন ধন্যবাদ।