তথ্য অধিকার দিবস: তারিখ, প্রতিপাদ্য বিষয়, ইতিহাস, শুভেচ্ছা বার্তা, উক্তি, স্ট্যাটাস, ছবি
বর্তমানে ইন্টারনেটের এই যুগে তথ্যপ্রযুক্তি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সংবিধানে তথ্য পাওয়ার অবাধ সুযোগ দেওয়া আছে।অর্থাৎ প্রত্যেক নাগরিকের তথ্য পাওয়ার জন্য সংবিধান থেকে অধিকারপ্রাপ্ত। এরই ভাবনা থেকে বিশ্বের তথ্য অধিকার দিবস পালন করা হয়ে থাকে। তাই আপনি যদি তথ্য অধিকার দিবস সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে এই নিবন্ধ টি আপনার জন্য।
তথ্য অধিকার দিবস কত তারিখে?
ইউনেস্কো প্রথম সিদ্ধান্ত নেন ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তথ্য অধিকার দিবস পালনের জন্য। ২০১৫ সালে সেপ্টেম্বর মাসের ২৮ তারিখে প্রথম সিদ্ধান্ত নিলেও পরবর্তীতে ২০১৬ সালের ২৮ শে সেপ্টেম্বর কে “বিশ্ব তথ্য অধিকার দিবস” হিসেবে পালিত হয়।
আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস ইতিহাস
2016 সাল থেকে আন্তর্জাতিক মাধ্যমে তথ্য অধিকার দিবস কি পালন করা হয়। দেশের সাধারণ মানুষের তত্ত্ব অধিকারের জন্য এই দিনটিকে বিশেষ গুরুত্বের সাথে দেখা হয়। তথ্য অধিকার দিবস এর মাধ্যমে দেশ ও বিশ্বের সকল তথ্য সর্বসাধারণের কাছে প্রকাশিত করা হয়। সাধারণ মানুষের গুরুত্বের দিক লক্ষ্য করে দিনটির গুরুত্ব অপরিসীম। সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক তথ্য অধিকার আদায় করা হয়।
তথ্য কমিশন: তথ্য কমিশন একটি দেশের সরকারি ব্যবস্থাপনায় কাজ করে যাচ্ছেন। দেশ ও জনগণের কল্যাণের জন্য তথ্য কমিশন সকল তথ্য সর্বসাধারণের কাছে উন্মুক্ত করে রাখেন। সাধারণ জনগণের মধ্যে কারও কোন তথ্য জানার থাকলে তা তথ্য কমিশন অধিদপ্তরের মাধ্যমে জানতে পারেন। সকল দেশের সাধারণ জনগণের দেশের সকল তথ্য জানার অধিকার রয়েছে।
তথ্য অধিকার আইন
বিশ্বের সকল দেশের সাধারণ জনগণের তথ্য অধিকার আইন সম্পর্কে জানার অধিকার সমান। দেশের যে কোন মানুষ দেশের তথ্য জানার ও মানার অধিকার রাখেন। তথ্য অধিকার আইন মেনে চলা সকল দেশের সর্ব সাধারন মানুষের মেনে চলা বাধ্যতামূলক। কোন দেশের সাধারণ মানুষ যদি সেই আইন অমান্য করে চলে তাহলে তার জন্য আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া তথ্য অধিকার আইনের আওতায় অন্তর্ভুক্ত হয়। এবং তাকে আইন অমান্য করার শাস্তি ভোগ করতে হয়।
তথ্য অধিকার আইন প্রেজেন্টেশন: তথ্য অধিকার আইন প্রেজেন্টেশন এর কাজ হলো তত্ত্ব সম্পর্কে সকল নিয়ম-নীতি ও এ আইন অমান্য করার জন্য কি শাস্তি হতে পারে এবং কেন অমান্য করতে পারবে না সে সকল তথ্য প্রেজেন্টেশন করে।
বাংলাদেশে প্রথম তথ্য অধিকার দিবস পালন: বাংলাদেশের সর্বপ্রথম ২০১৬ সালে তথ্য অধিকার দিবস পালন করা হয়। পরবর্তী হতে প্রতি বছরই সেপ্টেম্বর মাসের ২৮ তারিখ এ দিবসটি পালন করা হয়।
তথ্য অধিকার দিবস পালনের উদ্দেশ্য
তথ্য অধিকার দিবস পালনের উদ্দেশ্য হল যেন যেকোনো নাগরিক সেই দেশের সকল তথ্য সম্পর্কে ধারণা লাভ করে। তথ্য অধিকার এর মাধ্যমে সাধারণ জনগণ দেশের সকল বিষয়ে সকল তথ্য জানতে পারেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশকে সোনার বাংলা গড়ার, যেন সকল মানুষ খাদ্য বস্ত্র শিক্ষা চিকিৎসা বাসস্থান সম্পর্কে অবহিত হন এবং বাকস্বাধীনতা পান। সর্বসাধারণের বাক স্বাধীনতার জন্য তথ্য অধিকার দিবস টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। এই দিনটি শুধু নির্দিষ্ট কোন তারিখের জন্য নয় সারা বছর যেকোনো সময় যেকোনো মুহূর্তে যেন সকল মানুষ সকল তথ্য সম্পর্কে জানতে পারে তার জন্য তথ্য অধিকার দিবস পালনের উদ্দেশ্য অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। ডিজিটাল বাংলাদেশ একসময় ছিল স্বপ্ন এখন তথ্য প্রযুক্তির জন্য তা হয়ে উঠেছে বাস্তবতায়।
তথ্য অধিকার দিবস উক্তি
“আমি বিশ্বাস করি যে কোনও গণতান্ত্রিক সমাজের জন্য দীর্ঘমেয়াদে সরকারি তথ্যে জনসাধারণের অ্যাক্সেসের গ্যারান্টি অপরিহার্য…। কর্মকর্তারা যদি নাগরিকদের কাছে যা জানতে চান তাই যদি জনসাধারণের কাছে প্রকাশ করে, তবে প্রচারটি প্রতারণা এবং জবাবদিহিতা অর্থহীন হয়ে যায়।”
— সিসেলা বোক, সুইডিশ দার্শনিক
“FOIA এর মূল উদ্দেশ্য হল একটি সচেতন নাগরিক নিশ্চিত করা, একটি গণতান্ত্রিক সমাজের কার্যকারিতার জন্য অত্যাবশ্যক, দুর্নীতির বিরুদ্ধে চেক করার জন্য এবং গভর্নরদের শাসিতদের কাছে দায়বদ্ধ রাখা।”
— NLRB বনাম রবিন্স টায়ার কোং -এ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট
তথ্য সংগ্রহ
তথ্য প্রযুক্তির উন্নতির ফলে সারা বিশ্ব এখন ডিজিটালে পরিণত হয়েছে। কোন দেশ তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে অতীতের সকল তথ্য সংগ্রহ করে রাখেন এবং কোন সময় যদি কোন বিষয়ে তথ্য জানার থাকে তাহলে সেই তত্ত্ব সম্পর্কে জানতে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে জানা সম্ভব হয়।
তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে
তথ্যপ্রযুক্তির এই বিশ্বে সকল তথ্য তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে জানা অতি দ্রুত ও সহজ হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশের প্রতিটি উপজেলায় তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে সকল তথ্য জানা যায়। যেহেতু সকল মানুষের দেশের সকল তথ্য সম্পর্কে জানার অধিকার আছে সেহেতু তারা তাদের কাঙ্ক্ষিত তথ্য উপজেলা কিংবা অনলাইনের মাধ্যমে জানতে পারে। সবথেকে সহজ মাধ্যম হলো অনলাইন মাধ্যম। এক মুহূর্তের মাধ্যমে তারা সেই কাঙ্খিত তথ্য অনলাইনে মাধ্যমে জানতে পারি। তার জন্য বাংলাদেশ সরকার ওয়েবসাইট তৈরি করেছেন। যেকোনো বিষয়ের তথ্য জানা যায় যেমন, রাজনৈতিক, চিকিৎসা,কৃষি ও তথ্য প্রযুক্তি সম্পর্কে। ডিজিটাল বিশ্ব হওয়ার জন্য কোন বিষয়ে তথ্য জানার ক্ষেত্রে কারো কোন ভোগান্তি ও হয় না। যার যখন যে বিষয়ে তথ্য জানার প্রয়োজন শেষ তখন সেই বিষয়ে তথ্য খুব দ্রুতই জানতে পারি।