হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠানো হয় কিভাবে
মোগল আমলে অর্থ লেনদেন কারী একটি প্রক্রিয়া হিসেবে হুন্ডি বিষয়টি চালু হয়েছে। যদিও এ বিষয়টি সে আমলে জনপ্রিয়তা পায়নি কিন্তু পরবর্তীতে ব্রিটিশ আমলে এটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে থাকে। বর্তমান সময়ে বিদেশি চাকরিজীবীরা কিংবা প্রবাসীরা আড়ালে অর্থ লেনদেন করে থাকেন। হুন্ডি এমন একটি অর্থনৈতিক লেনদেন প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তির মাধ্যমে নির্দেশিতভাবে অর্থ লেনদেন করা হয়। এই প্রক্রিয়ার অর্থ লেনদেন করার মাধ্যমে ব্যাংকিং সুবিধা কিংবা বিনিয়োগের কোন সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হয় না। যার মাধ্যমে হুন্ডির মাধ্যমে অর্থ পাঠানো কিংবা অর্থ গ্রহণ করার প্রক্রিয়াটি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে অবহিত হয়ে থাকে। এই প্রক্রিয়াটি মূলত প্রবাসীদের মাঝে এখনো প্রচলিত রয়েছে তাই তো অনেকেই হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠানো হয় কিভাবে সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে চাই। তাদের জন্য আজকের প্রতিবেদনটি তুলে ধরেছে যেখানে আমরা হুন্ডির মাধ্যমে কিভাবে টাকা পাঠানো যায় সে সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে তথ্য গুলো তুলে ধরেছে।
মোগল আমলে অর্থ লেনদেন করার জন্য একটি প্রক্রিয়া চালু করা হয় যার নাম হুন্ডি। এই হুন্ডি শব্দের অর্থ মূলত সংগ্রহ করা। এটি মূলত অর্থ লেনদেনকারী একটি প্রক্রিয়া হিসেবে ব্রিটিশ আমলে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। বর্তমান সময়ে যদিও এটি সর্বসাধারণের মাঝে পরিচিত নয় এরপরেও হুন্ডির মাধ্যমে প্রবাসীরা আড়ালে অর্থ লেনদেন করে থাকে। হুন্ডি বেশ কিছু ধরনের হয়ে থাকে প্রতিটি হুন্ডি অর্থ লেনদেন করার বিষয়সমূহ ও নিয়ম নীতি আলাদা রয়েছে। ব্যক্তিগতভাবে তৃতীয় জন অথবা হুন্ডি ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে অর্থ লেনদেন করা হয়। হুন্ডির মাধ্যমে অর্থ আদান-প্রদানে মূলত ব্যাংক কিংবা বাণিজ্যিক কোনো সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয় না। হুন্ডির মাধ্যমে টাকা আদান-প্রদানের মূলত একটি বড় সমস্যা হচ্ছে এখানে ব্যাংক কিংবা বাণিজ্যিকভাবে অর্থ লেনদেন করা হয় না যার মাধ্যমে এটি একটি দেশের অর্থনীতির জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ। এ ছাড়াও অনেক সময় হলের মাধ্যমে অর্থ লেনদেন করার জন্য বৈধ হওয়ার তো অবৈধ হিসেবে গণ্য হয়ে থাকে। এই হুন্ডিতে অর্থ পাঠানোর জন্য প্রতিটি প্রবাসী রাষ্ট্রীয় সুযোগ হতে বঞ্চিত হয়ে যায়। তাই প্রবাসীরা যারা বিদেশে অর্থ উপার্জন করে নিজের পরিবারের কাছে অর্থ পাঠানোর জন্য প্রক্রিয়াটি ব্যবহার করে থাকে তাদের উচিত বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ সরকারের অধীনে প্রচলিত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে দেশে অর্থ পাঠানোর ব্যবস্থা করা।
হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠানো হয় কিভাবে
মুঘল আমলে বাণিজ্যিক লেনদেন ঋণ আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে হুন্ডি প্রক্রিয়া প্রচলিত হয়েছে। সে সময়ে অর্থ লেনদেনের জন্য বর্তমানের উন্নত প্রযুক্তির প্রচলিত ব্যবস্থা ছিল না যার কারণে তখন হুন্ডির মাধ্যমে অর্থনৈতিক সকল লেনদেন করা হতো। বর্তমান সময়েও অনেকে হুন্ডির মাধ্যমে অর্থ লেনদেন করে থাকেন তবে তা অবৈধ উদ্দেশ্যে কিংবা কিংবা অবৈধ উপায়ে অর্থ পাঠানো হয়। তাইতো অনেক সময় অনেকেই হুন্ডির মাধ্যমে কিভাবে অর্থ পাঠানো হয় সে সম্পর্কে তথ্যগুলো জানতে চান এজন্য আজকের এই প্রতিবেদন দিতে আমরা মুঘল আমলের প্রচলিত প্রক্রিয়া মাধ্যমে অর্থ লেনদেন করার বিষয়ে আপনাদের মাঝে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব। আজকের এই তথ্যগুলো সংগ্রহ করে আপনারা হুন্ডি প্রক্রিয়ায় কিভাবে অর্থ পাঠানো হয় সে সম্পর্কে সুস্পষ্ট ভাবে জানতে পারবেন। নিচে হুন্ডির মাধ্যমে কিভাবে টাকা পাঠানো হয় সে সম্পর্কে তথ্যগুলো তুলে ধরা হলো: বিদেশে কাজ করা একজন তার পরিবারের কাছে টাকা পাঠাতে চায়। তখন সে যদি হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠাতে চায় তাহলে সে একটা হুন্ডি ব্যবসায়ীর কাছে যায়। সেই ব্যবসায়ী দেশে তার কোনো এজেন্টকে বলে দেয় যে কোথায় টাকা দিতে হবে। এজেন্ট সে অনুযায়ী সেই বাড়িতে তার টাকা পৌঁছে দেয়। এতে কোনো কোনো সময় ব্যাংকে টাকা পাঠানোর থেকে সময় কম লাগে। এখানে যারা হুন্ডি ব্যবসা করে তারা ডলার রেট ব্যাংকে যে পরিমান দেয় তার থেকে বেশি দেয়। যেমন ১ ডলারে ব্যাংক যদি ১০০ টাকা দেয় তাহলে হুন্ডিতে তারা ১০৫ বা ১১০ টাকা দেয়। এখানে তারা তাদের লাভ একটু কমই রাখে। এভাবে দেওয়ার পর যেটুকু থাকে সেটায় হুন্ডি ব্যবসায়ের লাভ। আর এভাবেই হুন্ডি ব্যবসা কিভাবে করে এবং হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠানো হয়