গর্ভবতী মায়ের যে সকল ফল খাওয়া উচিত
আসসালামু আলাইকুম আমরা এসেছি আপনাদের কাছে আজকে একজন গর্ভবতী মায়ের যে সকল ফলমূল খাওয়া অতীব প্রয়োজনীয় সেই সম্পর্কে কিছু তথ্য জানাতে আসছি।একজন গর্ভবতী মা তার সন্তানকে পৃথিবীতে সুস্থ-স্বাভাবিকভাবে ভূমিষ্ঠ করতে হলে একান্ত প্রয়োজন পুষ্টিগুণসম্পন্ন ফলমূল খাওয়া। একটা সন্তানের সুস্থতা অসুস্থতা নির্ভর করে মায়ের উপর।
মা তার গর্ভে থাকা সন্তানের কথা চিন্তা করে যেমন পুষ্টিকর ফলমূল খাবে ঠিক করে থাকে বাচ্চা মায়ের শরীর থেকে ঐসকল পুষ্টিগুণ আয়ত্ত করবে।ফল শব্দটি শুনলে আমরা সকলে বুঝতে পারি এর ভিতরে রয়েছে সকল পুষ্টিগুণ বিদ্যমান তবে হ্যা আসলেই সঠিক ফল প্রতিনিয়ত খাবার ফলে একজন গর্ভবতী মা তার শরীরের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করতে পারে।
যেমন ধরেন সাধারণত বলতে পারি আমরা ডালিম ফলের কথা:
যদি গর্ভবতী মায়ের শরীরের ভিতরে রক্তের পরিমাণ কম থাকে অর্থাৎ গর্ভবতী মায়ের রক্তশূন্যতা দেখা যায় তখন যদি দেখেন আপনার ডেলিভারি তারিখ এখনো অনেক সময় বাকি আছে আপনি প্রতিদিন নিয়ম করে ডালিম ফল খাবেন।আল্লহ পাকের অশেষ রহমতে দেখবেন রক্তশূন্যতা দূর হবে। এটা হচ্ছে আপনাদের বোঝানোর জন্য একটি উদাহরণ দিলাম।
এবার আসছি আপনাদের কাছে গর্ভবতী মায়ের উদ্দেশ্যে বলার জন্য ফল খাওয়া প্রয়োজন তবে হ্যাঁ কি কি ফল খাওয়া অতীব প্রয়োজন মা ও শিশুর শরীরের সকল ধরনের পুষ্টিগুণসম্পন্ন করবে এ বিষয়ে আমাদের অবশ্যই বিশেষ দৃষ্টি খেয়াল রাখতে হবে। গর্ভবতী মায়ের যে সকল ফল খাওয়া প্রয়োজনীয় । যা মা ও শিশুর শরীরের সকল ধরনের পুষ্টিগুণসম্পন্ন করবে ।
এ বিষয় বর্ণিত করতেছি যে গর্ভবতী মায়ের যে সকল ফল খাওয়া প্রয়োজনীয়:
১/গর্ভবতী মায়ের জন্য ফল তালিকায় “কলা “একেবারে শীর্ষে রয়েছে।কলার ভিতরে আছে ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম ফলাফলের জন্য নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে এ জন্য সাধারণত গর্ভবতী মায়ের প্রথম তিন মাস তো অবশ্যই খাবারের তালিকা কলা রাখার উপদেশ দেয়া হয়েছে।
২/গর্ভবতী মায়ের জন্য “কিউই “ফলটি খাওয়ার খাওয়ার কথা বলা হয়েছে কারণ এতে রয়েছে ভিটামিন সি ভিটামিন ই ভিটামিন এ পটাশিয়াম ম্যাগনেশিয়াম, পুষ্টিতে ভরপুর। শ্বাসতন্ত্রের নিরাময়এর উপর প্রভাব ফেলে এটি গর্ভবতী মায়ের সর্দি-কাশি থেকে হওয়া থেকে বিরত রাখে।
৩/ গর্ভবতী মায়ের শরীরের পুষ্টির জন্য অবশ্যই পেয়ারা ফলটি খেতে হবে এতে রয়েছে ভিটামিন ই ,ভিটামিন সি ও ক্যারোটিন অয়েড সমৃদ্ধ থাকে। পেয়ারা স্নায়ুতন্ত্রের মধ্যে শক্তি আর বড় হু করে থাকে।
৪/আপেল ফলটি গর্ভবতী মায়ের সকল ফলের ভিতরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং শক্তি বাড়িয়ে তুলতে পারে।আপেল ফল কি খাবার খাবার ফলে গর্ভবতী মায়ের সন্তান হবার পর সন্তানটিকে হাঁপানি তার ঠান্ডা লাগা নাকের ভিতর শো শো শব্দ হওয়া থেকে বিরত রাখে। আপেলের রয়েছে ভিটামিন ই ভিটামিন ই ভিটামিন ডি।
৫/আতাফল গর্ভবতী মায়ের গর্ভে থাকা শিশুর চুল ,চোখ, ত্বকের এবং শিশুর টিস্যুর জন্য প্রয়োজনীয়। এই মৌসুমী ফল কি গর্ভবতী মায়ের গর্ভ থাকা শিশুটির জ্ঞান উন্নয়ন বাড়াতে সাহায্য করে।
৬/”ডালিম” ফল টি গর্ভবতী মাকে খাওয়ার জন্য বিশেষভাবে জানানো হচ্ছে এ ফলের ভিতরে রয়েছে ভিটামিন সি লৌহ ও প্রোটিন। ডালিম ফলের উপকারিতা বলে শেষ করা যাবেনা। গর্ভবতী মায়ের শরীরে রক্তের ঘাটতি পূরণ করে ডালিম ফল।
৭/”অ্যাভোগাড্রো “ফলটি আমাদের দেশীয় ফল না তবে হ্যাঁ এই ফলটি শিশুর মস্তিষ্ক অর্থাৎ মেধাবিকাশ অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ভূমিকা পালন করে থাকে।
৮/”আম” এ ফলটি গর্ভবতী মায়ের কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ থেকে রক্ষা করে হজম শক্তি থাকে তবে মৌসুমী ফল পাওয়া যাবে না।
৯/”স্ট্রবেরি “ফল কি গর্ভবতী মায়ের গর্ভে ভিতর থাকা ছোট্ট শিশুর হাড় গঠনে ও শক্তিশালী করতে সহায়তা করে।
১০/”চেরি” ফলটি সাধারণত গর্ভবতী মায়ের সর্দির মত রোগটি থেকে সংরক্ষন করে এছাড়াও শরীরের ভিতরে রক্ত সরবরাহ করে থাকে।
এখন বলব গর্ভবতী মায়ের শুধু ফল খেলে হবে না কিছু কিছু ফল খাওয়ার জন্য ক্ষতিকর তা থেকে বিরত থাকতে হবে শরীরের জন্য ক্ষতিকর এই যেমন ধরুন আনারস ও পেঁপে।এ আমার রাশিফল কি কখনো গর্ভবতী মা খাবে না কারণ আনারসের ভিতরে আছে ব্রোমেলাইন নামক এঞ্জাইম থাকে জরায়ুর সংকোচন হয় এবং গর্ভের সন্তান মিসক্যারেজ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আরেকটি ফল হচ্ছে পেঁপে কাঁচা অথবা পাকা করুন কি খাবেনা গর্ভবতী মা কারণ পেঁপের ভিতর থাকার যে কস বা আঠা জাতীয় পদার্থ বের হয় এগুলো গর্ভের ভিতরে থাকা সন্তানের জন্য ক্ষতিকারক অর্থাৎ মায়ের গর্ভের সন্তান নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে।
সর্বোপরি পরিশেষে পাঠকের উদ্দেশ্যে বলছি এতক্ষন আমাদের সাথে থাকার জন্য আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য ।একজন গর্ভবতী মায়ের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় গর্ভকালীন সময়ে কোন ফল খেলে গর্ভের সন্তান এর জন্য প্রয়োজনীয় ও সন্তান নষ্ট হবার সম্ভাবনা থাকে এগুলো আপনাদের জানানো চেষ্টা করেছি ।গর্ভবতী মা যদি তা নিজের জীবনে এই টিপসগুলো ব্যবহার করে তাহলে উপকৃত হবে। এখানে আমাদের লেখায় ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।