রচনা

বঙ্গবন্ধুর রচনা জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান

প্রিয় ভিউয়ার্স আপনাদেরকে আমাদের পেজে স্বাগতম। আজ আমরা আপনাদের মাঝে এমন একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে এসেছি যে বিষয়টি আমাদের সবার জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বঙ্গবন্ধুর রচনা অর্থাৎ জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের।আপনারা অনেকেই হয়তোবা ওয়েবসাইটে এই রচনাটি খুঁজেছেন তাদের প্রয়োজনের জন্য।তাই আপনাদের কথা বিবেচনা করে আমরা আজকে নিয়ে এসেছি জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের রচনা।

এই রচনাটি স্কুল কলেজের  অর্থাৎ ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। এই রচনাটি স্কুল কলেজের পাঠ্য বইয়ের একটি পাঠ। রচনাটি না পড়লে তো স্কুল কলেজে শিক্ষার্থীরা জানতেই পারবে না বঙ্গবন্ধু কি? বঙ্গবন্ধু কিভাবে দেশের জন্য যুদ্ধ করেছে ,বঙ্গবন্ধুর অবদান কতটুকু দেশের জন্য ইত্যাদি বিষয়ে এই রচনাটির ভেতরে ফুটে উঠেছে।তবে চলুন আর দেরি না করে মূল বিষয়ে চলে যাই আমরা অর্থাৎ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রচনা নিম্নে দেওয়া হল।

ভূমিকা :

বাংলাদেশ জার্মানির পেছনে যার অবদান সব থেকে বেশি সেই হচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
বাংলাদেশে জাতির জনক হয়ে পরিচিত। আমাদের বাংলার জাতির পিতা বাংলার সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি দেশবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। শেখ মুজিবুর রহমানের এক সীমাহীন দেশ প্রেমের ফসল হলো স্বাধীনতা।বাংলাদেশের বাঙালি যখন স্বাধীনতার জন্য তীব্র যন্ত্রণা কাতর তখন সেই যন্ত্রণা হাত থেকে মুক্তি দেবার জন্য আলু হাতে নিয়ে এগিয়ে আসলো জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর শৈশবকাল

শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০ সালে ১৭ ই মার্চ ফরিদপুর জেলাতে রাত ৮ টার সময় জন্মগ্রহণ করেন। শেখ লুৎফুর রহমান ও সায়েরা খাতুনের কোলে দুই কন্যার সন্তানের পর জন্মায় শেখ মুজিবুর রহমান। ছোটবেলা থেকেই তিনি ছিলেন দয়ালু অন্যের উপকার করতো কোন স্বার্থ ছাড়াই। তিনি ১৯২৭ সালে গিমাদাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয় পড়াশোনা করতেন। ১৯২৯ সালে গোপালগঞ্জ প্রাথমিক বিদ্যালয় ক্লাস থ্রিতে ভর্তি হন।

পিতার চাকরির বদলির জন্য ১৯৩১ সালে মাদারীপুর ইসলামিয়া বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীতে ভর্তি হন। ১৯৩৪ সালে তিনি ভেরিভেরি রোগে আক্রান্ত হন। তার জন্য পড়ালেখায় বিঘ্ন ঘটে অনেকটা দিন।পরবর্তীতে তিনি গোপালগঞ্জের মাধুরা নাথ ইনস্টিটিউট মিশন স্কুলে তিনি সপ্তম শ্রেণীতে ভর্তি হন।১৯৪২ সালের এই স্কুল থেকে মেট্রিকুলেশন পাস করেন।পরে ১৯৪৭ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ইসলামিয়া কলেজ থেকে ইতিহাস ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয় স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।

ব্রিটিশ ভারতে দেশবন্ধুর ভূমিকা:

রাজনৈতিক জীবনে পা রাখেন ১৯৩৯ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ
মুজিবুর রহমান এই বছরই বিদ্যালয় পরিদর্শন করতে আসেন শাসকদলের পক্ষ থেকে কিছু নেতা।একটি দলের সুযোগ ছিল ছাদ মেরামত করার দাবি সামনে তুলে ধরার জন্য আর সেই দলের নেতা ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ছাত্রদল থেকেই বঙ্গবন্ধু রাজনৈতিক কাজে জড়িত আছে। বিভিন্ন জায়গায় যখন কোন গোষ্ঠীর সমস্যার কথা জানতেন এইসব কিছুর মধ্যে লিডার হতেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

১৯৪০ সালে মুসলিম লীগ পাকিস্তানি প্রতিষ্ঠানের জন্য তৎপর হয়ে ওঠে। ১৯৬৪ সালের নির্বাচনে মুসলিম লীগ বিজয় লাভ করে।বিজয় লাভ করার পরে অত্যাচারীর হাত থেকে মুক্তি লাভ করতে পারে নাই। ওই বছরই কলকাতায় হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা শুরু হয়  ১৯৪৮ সালে জানুয়ারি মাসে তিনি পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম লীগে স্থাপন করেন। তিনি নিজে ছিলেন এই লীগের নেতা। বাংলা ভাষা আন্দোলনের দেশ বন্ধুর ভূমিকা অপরিসীম।

বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার জন্য তিনি ইতিহাসের পাতায় এক দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছিলেন। ১৯৪৮ সালে উর্দুকে পাকিস্তানী রাষ্ট্রভাষা করার ঘোষনা করা হয়। ফলে পূর্ব পাকিস্তানের বিক্ষোভ জেগে ওঠে।বঙ্গবন্ধু বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার আন্দোলন নিয়ে কয়েকবার কারাগারে বন্দী হয়ে থাকেন।১৯৫২সালে ২৬ শে জানুয়ারি মুজিবের জেল মুক্তির ব্যাপারে ঘোষণা করার কথা ছিল ।কিন্তু তার জেল থেকে মুক্তির বদলে উর্দু পাকিস্তানি ভাষা থাকবে এই কথা বলা হয়।আর সেই প্রস্তাবটি মেনে নিয়েছিল না সে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তারপর থেকে যুদ্ধ শুরু হতে থাকে।

৭ই মার্চের ভাষণ

১৯৭১ সালের ৭ ই মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রেসকোর্স ময়দানে একটি ভাষণ  করেছিলেন দেশবাসীর উদ্দেশ্যে। ওই ঐতিহাসিক ভাষণ টি দুপুর ২:৪৫  শুরু করেছিলেন। ১৮ মিনিটের এই ভাষণটি গোটা বিশ্বে একটি আলোড়ন তৈরি করেছিল। এই ভাষানটি ১৩ খানা ভাসাতে অনুবাদ করা হয়েছিল ভাষণটি কোন লিখিত‌ ভাষণ ছিল না। দেশবন্ধু দেশবাসীর উদ্দেশ্যে তাৎক্ষণিকভাবে এই ভাষণটি রেখেছিলেন।

ভাষাটি তাৎক্ষণিক হওয়া সত্বেও রূপ নিয়েছিল সাজানো-গোছানো ভাষনের মত।অনেকক্ষণ ধরে কেউ পাঠভুমিকা তৈরি করলেও এত সুন্দর ভাষণ দিতে পারতো না কিন্তু দেশবন্ধু যে ভাষণ দিয়েছিল তাৎক্ষণিক। যেমন রচনাতে লেখা হয় ঠিক তেমনি ভাবে ভাষণ দিয়েছিল। ভাষণটীতে তিনি তুলে ধরেছিলেন বাংলার মানুষের আর্তনাতের কথা। তারপর অন্যায় এবং অত্যাচারের কথা তুলে ধরেছিলেন।শেষে জনগণের উদ্দেশ্যে তিনি একটি কথা বলেন ,”এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম” জয় বাংলা।

বঙ্গবন্ধুর বিদায়

১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগস্ট দেশবন্ধু বাসভবন ঘিরে ফেলে। দেশবন্ধুসহ তার পরিবারের সকলকে হত্যা করে ফেলে। বঙ্গবন্ধুর বাড়ির সকল কর্মচারী কেউ হত্যা করে ফেলে। দুর্ভাগ্যবশত বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা বাংলাদেশের বাইরে থাকে তা না হলে তারা ও পৃথিবী থেকে বিদায় নিতে হতো। তারা দেশের বাইরে থাকার কারণে প্রাণী বেঁচে যায়। পরবর্তীতে বাংলাদেশ সরকার তাদেরকে দেশে ফেরার জন্য  থাকা জারি করেন।

উপসংহার: বাংলাদেশের জনগণ বঙ্গবন্ধুকে অমর করে রাখবেন। জীবিত থাকবেন সারাটি জীবন ধরে প্রতিটি বাঙালির মনে মনে। তার এই নিঃস্বার্থ কর্মকাণ্ডের জন্য তিনি অমর পৃথিবীর বুকে বেঁচে থাকবেন।বঙ্গবন্ধুর একটাই কথা সে যদি বাংলাদেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে না পারে তাহলে সে মৃত্যু বরণ করেও শান্তি পাবে না। কিন্তু সে তার ইচ্ছাটা পূরণ করেই মৃত্যুবরণ করেছে। আল্লাহ হাফেজ সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

Ratul

আমি রাতুল, এটা আমার ডাক নাম। এই নামে আমার এলাকার সবাই আমাকে চিনবে তবে বাইরের কেউ হয়তো চিনবে না। আমি বিশ্বাস করি সফলতা ভাগ্য এবং পরিশ্রমের দ্বারা নির্ধারিত। এই ব্লগটি আমি সখ করে তৈরি করেছি, এবং এটিই আমার ১ম ব্লগ। আশা করি আপনাদের বিভিন্ন তথ্য দিয়ে উপকৃত করতে পারবো। ধন্যবাদ সবাইকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *