হাদিস

নবীজির সেরা কিছু হাদিস

আসসালামু আলাইকুম আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি, আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছেন। আমরাও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আল্লাহ তাআলা তার অসংখ্য নেয়ামত দিয়ে আমাদেরকে সবসময় তার রহমত প্রদান করে যাচ্ছে।  আজ আমরা আপনাদের মাঝে আলোচনা করতে এসেছি নবীজির সেরা কিছু হাদিস এর সম্পর্কে।

আল কোরআনের রয়েছে আল্লাহ তায়ালার বাণী আর সে আল কুরআন থেকে সৃষ্টি হয়েছে হাদিস। নবী রাসূলগণের মুখের বাণী গুলোই হচ্ছে হাদিস।তারা যখন যে উক্তিগুলো প্রদান করেছে মানবের মাঝে সেই উক্তিগুলো সংগ্রহ করেই তৈরি হয়েছে হাদিস শরীফ। নবীজির দেওয়া উক্তিগুলো সংগ্রহ করে হাদিসের তৈরি করেছেন। সে হাদিস পাঠ করে আমরা আজ জানতে পারতেছি আমাদের আল্লাহর দেওয়া তথ্য এবং নবী রাসূলগণের বাণী।যদি সেদিন হাদিস সংরক্ষণ করে না রাখা হতো তাহলে আমরা কখনই জানতে পারতাম না। নবীজির মুখের বাণী হচ্ছে আমাদের জন্য হাদিস।

নবীজি যা বলেছেন সবই হাদিস কিন্তু তার ভেতর থেকেও সেরা কিছু হাদিস একসঙ্গে করে একটি পোস্ট তৈরি করা হয়েছে। আর সেই পোস্টটি আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে এসেছি। আমরা আশা করব ,আমাদের দেওয়া পোস্টটি আপনাদের ভালো লাগবে এবং এ থেকে আপনারা ভালো কিছু গ্রহণ করে নিয়ে যেতে পারবেন। এতে করে আপনারা নিজেরাও উপকৃত হবেন এবং অন্যদেরও উপকার করতে পারবেন।তবে চলুন আর দেরি নয় আমাদের সঙ্গেই থাকুন আর দেখতে থাকুন।

নিম্নে নবীজির সেরা কিছু হাদিস বর্ণনা করা হলো:

১/হযরত মুহাম্মদ সাঃ হাদিসে বর্ণিত করেছেন ,যে ব্যক্তি ঘুমানোর পূর্বে আয়াতুল কুরসি পাঠ করে ঘুমাবে ।আল্লাহ তাআলা তার জন্য সারারাত ফেরেশতা নিযুক্ত করবেন। এবং সেই ব্যক্তি আল্লাহর রহমতে সুস্থ স্বাভাবিকভাবে সকালে পুনরায় উঠবে।

২/আল্লাহর নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম বলেছেন, নিশ্চয়ই আমি উত্তম নৈতিকতার
পরিপূর্ণতা দানির জন্য প্রেরিত হয়েছি।

৩/হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সালাম বলেছেন ,তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম উত্তম নৈতিকতার ব্যক্তিরা হচ্ছে তারাই। যারা জনগণকে ভালোবাসেন এবং জনগণ ও যাদেরকে ভালোবাসেন।

৪/আমাদের হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম হাদিসে বর্ণিত করেছেন ,তোমরা বড়দেরকে সম্মান করো এবং ছোটদেরকে স্নেহ করো। কখনোই বড়দেরকে অসম্মান করোনা। আর ছোটদেরকে কষ্ট দিওনা।

৫/মহানবী সাঃ হাদিসে বর্ণিত করেছেন যে ব্যক্তি কোন মুসলিম বয়োজ্যেষ্ঠকে সম্মান করে। আল্লাহ তায়ালা রোজ কিয়ামতের ময়দানে তাকে ভয় হতে নিরাপত্তা দান করবে।

৬/হযরত মুহাম্মদ সাঃ হাদিসে বর্ণিত করেছেন তোমরা তোমাদের সন্তানের সাথে আদবের সহিত কথা বল তাদেরকে স্নেহ ও ভালবাসা দাও  অন্যায় করতে সাবধান করে দাও।

৭/হযরত মোহাম্মদ সাঃ হাদিসে বর্ণিত করেছেন, মুনাফিকের চিহ্ন তিনটি। যখন কথা বলবে মিথ্যা বলবে, ওয়াদার বরখেলাপ করবেন ,আমানতের খেয়ানত করবেন। এই তিনটি গুণ যে ব্যক্তির ভিতর আছে তাকে মুনাফিক বলা হয় ।

৮/হযরত মুহাম্মদ সাঃ হাদিসে বর্ণিত করেছেন, যে আমার উম্মত সে কখনো অন্যায় ভাবে কারো উপর কষ্টসাধ্য কাজ করবে না অর্থাৎ জোর জুলুম করবে না।

৯/হাদিসে বর্ণিত করেছেন, তোমাদের মধ্যে যখন কোন ব্যক্তি মসজিদে অবস্থান করবেন। সে যেন অবশ্যই দুই রাকাত সালাত আদায় করে বসে। (সহি বুখারি)

১০/হযরত মোহাম্মদ সাঃ হাদিসে বর্ণিত করেছেন , পুরুষ যে ব্যাক্তি টাখনুর গীরার নিচে কাপড় পরবেন সেই ব্যক্তি জাহান্নামী। (সহিই বুখারী হাদিস)

১১/হযরত মুহাম্মদ সাঃ হাদিসের বর্ণিত করেছেন পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করলে ৫০ ওয়াক্ত সালাতের সওয়াব পাবেন নবীজির উম্মতেরা।( মুসলিম ও তিরমিজি)

১২/হাদিসে বর্ণিত আছে ,যে সন্তান পিতা-মাতার সন্তুষ্ট অর্জনের জন্য চেষ্টা করে। আল্লাহ পাক তার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য চেষ্টা করবে ।(তিরমিজি)

১৩/হযরত মুহাম্মদ সাঃ হাদিসে বর্ণিত করেছেন, আল্লাহ পাকের সাথে শিরক করার ক্ষমা। আল্লাহ পাক করবে
না। শিরক হচ্ছে আল্লাহ তায়ালার সাথে অংশীদার করা কোন কিছুকে।( সহীহ মুসলিম)

১৪/হাদিস শরীফে বর্ণিত আছে কেয়ামতের ময়দানে আল্লাহতালা সর্বপ্রথম সালাতের হিসাব নিবে তার বান্দাদের কাছ থেকে।(সহীহ তিরমিজি)

১৫/হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম হাদীসে বর্ণিত করেছেন ,যে ব্যক্তি ফজর ও আসরের সালাত আদায় করবে সে ব্যক্তি জান্নাতি।( সহীহ বুখারি)

১৬/হাদিসে বর্ণিত আছে যে ব্যক্তি নিষ্টার সাথে শহীদের মৃত্যুর কামনা করবেন আল্লাহ পাক তাকে অবশ্যই শহীদি মৃত্যু দিবে যদিও সে বিছানায় মৃত্যুবরণ করেন।
(সহীহ মুসলিম)

১৭/হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সালাম বলেছেন ,যারা আমার সুন্নতের প্রতি অনিয়া প্রকাশ করে তারা আমার উম্মত নয়।( সহীহ বুখারী)

১৮/হযরত মোহাম্মদ সাঃ হাদিসে বর্ণিত করেছেন, যে ঘরে কুকুর ও প্রাণীর ছবি থাকে। সে ঘরে আল্লাহ তাআলার প্রেরিত ফেরেশতা প্রবেশ করে না। (সহীহ বুখারী)

১৯/হাদিসে বর্ণিত আছে যে ব্যক্তি বিবাদ সৃষ্টি করবে। এবং  বিবাদ আশ্রয় দিবে তার উপর আল্লাহ তায়ালার এবং সকল ফেরেশতার ও মানব সম্প্রদায়ের লানত পড়তে থাকবে।(সহিই বুখারী)

২০/মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাদিসে বর্ণিত করেছেন, যার ভিতরে সরিষা পরিমাণ ঈমান আছে ।সে কখনো জাহান্নামে যাবে না। যার ভিতরে সামান্য পরিমাণ অহংকার আছে সে কখনো জান্নাতে যাবে না।( মিসকত)

২১/আল্লাহ তায়ালার নিকট ওই আমল খুব প্রিয় যে আমল প্রতিনিয়ত করা হয় অল্প হোক কিন্তু প্রতিনিয়তই আমল আকারে করা হয়।( সহিই বুখারী)

২২/হাদিস শরীফে বর্ণিত আছে ,আমার একটি কথাও তুমি পৌঁছে দাও সবার কাছে। কেননা হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর  মুখের কথায় হাদিস।( বুখারী হাদিস)

সর্বশেষে বলতে চাচ্ছি যে ,এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাদেরকে আন্তরিক শুভেচ্ছা।
আমরা চেষ্টা করছি ,আপনাদের সামনে তুলে ধরার জন্য নবীজির সেরা কিছু হাদিস। জানিনা কতটুকু দিতে পারছি তবে আশা রাখছি, ভালো লাগবে আপনাদের।
আপনারা আপনাদের দৈনন্দিন জীবনে আরও বেশি ভালো হওয়ার তৌফিক দান করুক আল্লাহপাক।

Ratul

আমি রাতুল, এটা আমার ডাক নাম। এই নামে আমার এলাকার সবাই আমাকে চিনবে তবে বাইরের কেউ হয়তো চিনবে না। আমি বিশ্বাস করি সফলতা ভাগ্য এবং পরিশ্রমের দ্বারা নির্ধারিত। এই ব্লগটি আমি সখ করে তৈরি করেছি, এবং এটিই আমার ১ম ব্লগ। আশা করি আপনাদের বিভিন্ন তথ্য দিয়ে উপকৃত করতে পারবো। ধন্যবাদ সবাইকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *