জীবন

জীবন কিভাবে সুন্দর করা যায়

প্রিয় ভিউয়ার্স আপনাদেরকে আমাদের পেজে স্বাগতম। আজ আমরা আপনাদের মাঝে এসে হাজির হয়েছি জীবনের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় সম্পর্কে শেয়ার করতে। মানুষ জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত জীবনটাকে অতিবাহিত করে থাকে সুখ ,দুঃখ ,হাসি, কান্না এগুলো নিয়ে। মানুষের জীবন প্রতিনিয়ত পরিকল্পনার মধ্য দিয়ে চলতে থাকে। ঠিক তেমনি ভাবে আপনি জীবনকে কিভাবে সুন্দর করতে পারেন এটাও আপনার পরিকল্পনার মধ্যে থাকতে হবে। আজকে আমাদের পোস্টটি তৈরি করা হয়েছে জীবন কিভাবে সুন্দর করা যায় এই কথাটি উত্তর জানার জন্য আপনারা আমাদের এই পোস্টটি ভিজিট করলে সঠিক উত্তরটি জেনে যাবেন। জীবন অর্থাৎ মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আপনি পৃথিবীর বুকে যতদিন বাঁচবেন ততদিনই আপনি জীবন অতিবাহিত করতে থাকবেন।আর এক জীবনে আপনার কাছে পর্যায়ক্রমে  সুখ দুঃখ আসতে থাকবে আপনি হতাশা হতে পারবেন না।

 

হতাশা যদি হয়ে পড়েন তাহলে আপনার জীবন হয়ে যাবে বিষণ্নময়।বিষন্নময় জীবন নিয়ে পৃথিবীর বুকে বেঁচে থাকা কত যে কষ্ট ময় তা বলে হয়তো বা শেষ করা যাবে না।আমাদের সকলের মাথায় ঘুরপাক করতে থাকে জীবনকে কিভাবে সুন্দর করা যায়। এই প্রশ্নটির উত্তর জানার জন্য অনেকেই এই খুব ব্যস্তময় হয়ে পড়ে।  এত বেশি ব্যস্তময় হয়ে পড়ে যে জীবনে আর বেঁচে থাকার আশাটা এসে ভুলে যায়। জীবনকে এত তাড়াতাড়ি বিষণ্নময় করে তোলা যাবে না কেননা জীবন তো শুরু হয়েছে সবে আমাদের মাঝে শেষ হতে এখনো অনেক বাকি আছে। আর এ শেষ হওয়ার টার মধ্যে থেকেই আমাদের পৃথিবীর বুকে বেঁচে থাকতে হবে আপনি মরে গেলেই যে আমি পৃথিবী থেকে বিদায় নিলাম এমন নয় ।আপনি আপনার ভালো কর্ম দিয়ে পৃথিবীর বুকে আজীবন বেঁচে থাকতে পারবো।তবে চলুন আর দেরি না করে মূল কথায় ফিরে আসি জীবন কিভাবে সুন্দর করা যায় এটা জানার জন্য আমাদের সঙ্গেই থাকুন আর দেখতে থাকুন।

 

 

জীবনকে কিভাবে সুন্দর করা যায়

জীবন কথাটির অর্থ যার থেকে মৃত্যু পর্যন্ত যে সময়টা অতিবাহিত করে থাকে ওই সময়টি হচ্ছে জীবন। আর জীবনকে কিভাবে সুন্দর করা যায় তাহলে আপনাকে কিছু কাজ অর্থাৎ আপনার চরিত্রের ভিতরে কিছু বিল গুণাবলী থাকতে হবে যে গুণাবলী গুলো আপনার জীবনে সুন্দর করে তুলবে। আমরা আমাদের এই পোষ্টের মাধ্যমে সেই গুনাগুলি আপনাদের মাঝে ব্যক্ত করতেছি।

১/ প্রতিটি কাজের জন্য সময় নির্ধারণ করা:

আপনার জীবনকে সুন্দর করে গড়ে তোলার জন্য আপনাকে সবসময় সময়ের প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে। সময়ের কাজ সময়ে করতে হবে অন্য সময় করলে সেই কাজের কোন লাভ আপনি খুঁজে পাবেন না। জীবনের কখনো কোন সময় অপচয় করা যাবে না প্রত্যেকটি সময় আপনার কাজে লাগাতে হবে।

২/ আনন্দময় করে তুলুন আপনার জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে:

জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে আনন্দ আপনার জীবনে কাজের প্রতি আগ্রহ জন্মাবে। আপনি হাজার কাজের মাঝেও আনন্দ খুঁজে পাবেন।আপনি যদি আপনার জীবনকে সুন্দর করতে চান তাহলে অবশ্যই কষ্টকে হাজার কাজের ভিতরও জয় করে নিবেন। আপনার জীবনে ফেলে আসা অতীতকে আঁকড়ে ধরে কষ্ট পাবেন না ভবিষ্যতে এবং বর্তমানের সুখ নিয়ে সুখী হবেন।

৩/ জীবন থেকে হতাশাকে দূর করুন:

আপনার জীবনে ঘটে যাওয়া কোন ঘটনা নিয়েই আপনি হতাশ হয়ে পড়বেন না। মনকে শক্ত করে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবেন। যদি আপনি হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন তাহলে আপনার ভিতরে থাকা মোট ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হতে থাকবে। হতাশা আপনাকে কষ্ট দেবার সাহস আপনাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

৪/ আপনার আশেপাশে প্রতিটি মানুষের সঙ্গে সুন্দর ব্যবহার করবেন:

আপনি যদি জীবনে সুখী হতে চান এবং জীবনকে সুন্দর করে গড়ে তুলতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার আশেপাশে অর্থাৎ প্রতিবেশীদের সাথে সুন্দর ব্যবহার করবেন। তাদের থেকে ভালো ব্যবহার নিজে নিবেন এবং তাদের সঙ্গে আপনি নিজে করবেন। তাহলে আর আপনার আর আপনার প্রতিবেশীর ভিতর কোন ধরনের ঝামেলা থাকবে না। আপনার জীবন সুন্দর হবে। যে কোন বিপদে সকলের দোয়া আপনার উপর বিদ্যমান থাকবে।

৪/ নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া:

আল্লাহ দেয়া বিধি বিধান সবকিছু মেনে চলবেন। আল্লাহ যা কিছু ও করেছেন সেই কাজগুলো করবেন। আর যা কিছু  নিষেধ করেছে সেই কাজ বর্জন করবেন ।তাহলেই আপনার জীবন দেখলে সুন্দর হয়ে উঠবে ।জীবনে আর কখনো কষ্ট দুঃখ থাকবে না। মৃত্যুর পরও আপনি আল্লাহর কাছে ভালো ব্যক্তি হিসেবে মর্যাদা পাবেন।

৫/ পরিশ্রম করা:

আপনার জীবনকে সুন্দরভাবে গড়ে তোলার জন্য আপনাকে পরিশ্রম করতে হবে অলস ব্যক্তি কখনো জীবন সুন্দর করে তুলতে পারেনা । আর মানুষের কাছে আরো ধিক্কার শুনতে থাকে। অলসতাকে আপনার চরিত্র থেকে দূর করে পরিশ্রমের প্রতি অগ্রসর হতে হবে।

৬/ ঘুম থেকে সকাল সকাল উঠা:

যে ব্যক্তি ঘুম থেকে সকাল সকাল উঠে আর সেই সকালের সময়টাকে কাজে লাগায় অপচয় করে না। সেই ব্যক্তি জীবনে অনেক বড় হয় এবং তার জীবনটা অনেক সুন্দর হয়। আর বিশেষ করে সকালের আবহাওয়া শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এবং প্রয়োজনীয় রোগ প্রতিরোধের জন্য।

৭/ পরিবারের আপন জনকে সময় দেওয়া:

আপনি একটি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছেন । আর সেই পরিবার আপনার খুবই আপন জন।আপনার জীবনে যত কাজ থাকুক যত ব্যস্ত হয়ে থাকুক তার মাঝেও আপনি আপনার পরিবারের আপনজনকে সময় দেবেন । আপনার পরিবার আপনজন আপনার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে যাবে। আপনার ব্যবহারে রুষ্ট হবে তাহলে আপনার জীবন সুন্দর হবে না বরং ও অসুন্দরে পরিপূর্ণ হবে।

৮/ আপনার ভিতরে থাকা মন-মানসিকতা বড় করুন:

আপনার ভিতরে নিহিত আছে যে মন সেই মনটাকে আপনি বড় করুন। কখনো কোন কারণে মনকে ছোট করবেন না। কারণ আপনার ভিতরে মন যদি ছোট হয় তাহলে আপনি জীবনে কখনোই ভালো কিছু অর্জন করতে পারবেন না। আপনার আর্থিক অবস্থা খারাপ হতেই পারে ।কিন্তু মনের দিক থেকে আপনি সর্বদা বড় থাকবেন তাহলে আপনি জীবনে সুখী হবেন আর জীবনটা অনেক সুন্দর হবে।

সর্বশেষে বলতে চাচ্ছি, এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাদেরকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমরা এতক্ষণ চেষ্টা করছি, আপনাদের সামনে তুলে ধরার জন্য জীবনকে কিভাবে সুন্দর করা যায়। আশা রাখছি ,আমাদের এই পোস্টটির মাধ্যমে আপনারা সব জানতে পারবেন এবং তথ্যগুলো আপনাদের জীবনে কাজে লাগব।

Ratul

আমি রাতুল, এটা আমার ডাক নাম। এই নামে আমার এলাকার সবাই আমাকে চিনবে তবে বাইরের কেউ হয়তো চিনবে না। আমি বিশ্বাস করি সফলতা ভাগ্য এবং পরিশ্রমের দ্বারা নির্ধারিত। এই ব্লগটি আমি সখ করে তৈরি করেছি, এবং এটিই আমার ১ম ব্লগ। আশা করি আপনাদের বিভিন্ন তথ্য দিয়ে উপকৃত করতে পারবো। ধন্যবাদ সবাইকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *