নামাজ

কদর নামাজ কিভাবে পড়তে হয়

আসসালামু আলাইকুম আপনারা সবাই কেমন আছেন আশা করি আল্লাহর অশেষ রহমতে ভাল আছেন। আমরাও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।আজ আমরা আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে এসেছি কদরের নামাজ কিভাবে পড়তে হয়। আমাদের এই পোস্টটি আপনাদের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়।এখনো অনেক মুসলিম ভাই ও মা-বোনেরা আছে যারা কদরের নামাজ কিভাবে পড়তে হয় এই সম্পর্কে জানেনা তাদের জন্যই আমাদের এই পোস্টটি বিশেষ করে।আমাদের এই পোস্টটি আপনারা ভিজিট করলে জানতে পারবেন কদরের নামাজ কিভাবে পড়তে হয় কখন পড়তে হয় কদরের নামাজ পড়ার নিয়ম কি ইত্যাদি বিষয়ে আমরা শেয়ার করে থাকবো।

কদরের নামাজ হচ্ছে গিয়ে নফল ইবাদত আর আল্লাহ পাকের সন্তুষ্ট অর্জনের জন্য বেশি বেশি নফল ইবাদত করা আল্লাহ পাক খুব খুশি হয় সেই ব্যক্তির উপর। আমরা সকলেই জানি লাইলাতুল কদর এর নামাজ কতটা গুরুত্বপূর্ণ মুসলিমদের জীবনে। এই রাতের ইবাদাত হাজার হাজার বছর চেয়েও বেশি উত্তম। তাইলে  কদরের নামাজের ফজিলত জানা আমাদের মুসলমানদের খুবই প্রয়োজনীয়। বেশি বেশি আল্লাহর ইবাদত করা এবং দাঁড়িয়ে নামাজ পড়া আল্লাহপাক অনেক নেকি প্রদান করে থাকেন। লাইলাতুল কদরের ফজিলত বর্ণনা করে শেষ করা যাবে না এই রাতের ফজিলত অনেক বেশি। তবে চলুন দেখতে থাকুন আর আমাদের সঙ্গেই থাকুন।

কদরের নামাজ পড়ার নিয়ম

১/প্রথমে নামাজের পার্টিতে দাঁড়িয়ে তাকবিরে তাহরিমা পড়া।
২/তারপর বুকে হাত বেধে ছানা পড়া।
৩/তারপর আউযুবিল্লাহ বিসমিল্লাহ সহ সূরা ফাতিহা পড়া।
৪/পাপাই বিসমিল্লাহ সহ যে কোন সূরা পড়তে পারি তবে যেহেতু কদরের নামাজ। সেহেতু সূরা ইখলাস পড়তে হবে তবে এটা নির্দিষ্ট নয়। আপনি যে কোন সূরা পড়তে পারেন। যদি বড় কেরাত পড়তে চান তাহলে বড় কেরাত পড়তে পারেন। তবে কদরের নামাজ যেহেতু সেহেতু কদরের সূরাটি পড়াই উত্তম।
৫/তারপর রুকুতে যাবেন।
৬/তারপর সেজদা দিতে হবে দুই সেজদা।
৭/দুই সিজদা দেয়ার পর আবার উঠে দাড়িয়ে আউযুবিল্লাহ বিসমিল্লাহ পড়ে সূরা ফাতিহা পড়তে হবে।
৮/এরপর বিসমিল্লাহ সহ কোন সূরা মিলিয়ে পড়বো। তবে এখানে খেয়াল রাখবেন প্রথম রাকাতে একটু বড় সূরা পড়তে হবে ।দ্বিতীয় রাকাতে অপেক্ষাকৃত ছোট সূরা পড়তে হবে।
৯/এরপর এভাবে দুই রাকাত শেষ করার পর তাশাহুদ এ বসতে হবে। তাশাহুদ, দুরুদ শরীফ ও দোয়া মাসুরা পড়ে সালাম ফিরাতে হবে আর এভাবেই দুই রাকাত নামাজ সম্পূর্ণ হবে।

এভাবেই দুই রাকাত পড়ে নফল নামাজ পড়তে হবে কদরের রাতে। আপনার ধৈর্য অনুযায়ী আপনি যতটুকু সম্ভব কদরের নামাজ পড়তে পারেন। কদরের নামাজ ১০ ,১২ ,২০,৩০। আর আপনি চাইলে থেকে বেশি রাকাত পড়তে পারেন। অথবা সারারাত নামাজ পড়তে পারে আল্লাহ সন্তুষ্ট লাভের আশায়। ধরে রাত আল্লাহ সন্তুষ্টি লাভের রাত এ রাতে যে যত আমল করবে আল্লাহ পাক সেই ব্যক্তির উপর তত বেশি খুশি হয়ে রহমত বর্ষিত করবে। আদরে রাতে আল্লাহ পাক কোরআন নাজিল করেছিলেন।

কদরের নামাজের ফজিলত

আমরা সবাই কমবেশি সবাই জানি কদরের রাত মুসলিমদের জীবনে শ্রেষ্ঠ রাত। এ রাত ইবাদাতের রাত। এ রাতে যে ব্যক্তি যত বেশি আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টির জন্য ইবাদত করবে আল্লাহ পাক তার উপরে তত বেশি সন্তুষ্টি লাভ করবে। এ রাতের ইবাদাত হাজার হাজার বছরের রাতের চাইতে ও বেশি। কদরে পড়ার জন্য মহান আল্লাহতালা কুরআনে আমাদের কিছু দুআ শিখিয়ে দিয়েছেন। সেইসব দোয়াগুলো শিখে আমরা কদরের রাতে পড়তে পারি। হাদিসে বর্ণিত ,আছে যে ব্যক্তি কদরে রজনীতে চার রাকাত নামাজ আদায় করবে। এবং উহার প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহার পর সূরা কদর ও সূরা ইখলাস তিনবার পাঠ করবে।

নামাজ শেষে সিজদায় গিয়ে নিম্নের দোয়া পাঠ করবে আল্লাহর দরবারে যাই প্রার্থনা করবে তিনি তাই কবুল করেন এবং তার প্রতি অসংখ্য রহমত বর্ষিত করবেন। তাহলে তো বুঝতেই পারছেন কদরের নামাজের ফজিলত কতটা আর কতটা গুরুত্বপূর্ণ মুসলিম মানুষের জীবন। তাই আগে যারা কদরের নামাজ পড়েন নি আমাদের এই পোস্টটি পড়ে অনুরোধ থাকবে এবার থেকে কদরের নামাজ পড়বেন এবং অন্যদেরকে জানাবেন কিভাবে পড়তে হয় এবং করলে আল্লাহ পাক কতটা সওয়াব দান করবে।আমরা মুসলিম আমাদের আল্লাহ পাকের বিধি নিষেধ মেনে চলা একান্ত কর্তব্য। জীবনটা হবে ইসলামের পথে। তবেই তো জীবনে মানুষ হিসেবে জন্মগ্রহণ করে ধন্য বলে মনে হবে।

সর্ব পরিশেষে বলতে চাই যে, এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ।আমরা চেষ্টা করেছি, আপনাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য কদরের নামাজ কিভাবে পড়বেন এই তথ্যটি।আশা করেছি, আমাদের এই পোস্টে এই তথ্যটি সম্পূর্ণভাবে দেওয়া হয়েছে সুন্দরভাবে বুঝতে পারবেন।আমাদের এই পোস্টে যদি কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে আপনারা ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।

আর আমাদের দেওয়া এই তথ্যটি আপনারা নিজেরাও জানবেন এবং অন্যদেরকেও জানাতে সাহায্য করবেন।তবে আজ আর নয় আবার অন্য কোনদিন অন্য কোন পোস্টে আপনাদের সঙ্গে দেখা হবে।সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আপনাদের দীর্ঘায়ু কামনা করছি আল্লাহ হাফেজ।

Ratul

আমি রাতুল, এটা আমার ডাক নাম। এই নামে আমার এলাকার সবাই আমাকে চিনবে তবে বাইরের কেউ হয়তো চিনবে না। আমি বিশ্বাস করি সফলতা ভাগ্য এবং পরিশ্রমের দ্বারা নির্ধারিত। এই ব্লগটি আমি সখ করে তৈরি করেছি, এবং এটিই আমার ১ম ব্লগ। আশা করি আপনাদের বিভিন্ন তথ্য দিয়ে উপকৃত করতে পারবো। ধন্যবাদ সবাইকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *